ঢাকা: সভা-সেমিনার নয়। কাজ দেখতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি।
বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) বিদ্যুৎ ভবনে ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাসটেইনেবল নবায়নযোগ্য জ্বালানি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (স্রেডা) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
স্রেডাকে উদ্দেশ্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেমিনার যেন শুধু বিতর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। এর ফলাফল দেখতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্জ্য আমার নির্বাচনী এলাকার (কেরানীগঞ্জ) দুটি নদীকে খেয়ে ফেলেছে। নদী দুটি এখন বর্জ্যের ডাম্পিংয়ে পরিণত হয়েছে। বর্জ্য আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, দেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন যদি সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা না যায় তাহলে এক সময় বর্জ্য ‘এটম বোমা’য় পরিণত হবে।
প্রতিমন্ত্রী স্রেডাকে এখনই এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হলে জনগণকে সচেতন করতে হবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, ওয়েস্ট এখন আর ওয়েস্ট নয়। ওয়েস্ট ইজ ওয়েল। আমরা ওয়েস্ট দিয়ে সহজেই বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন করতে পারি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, শুধু ঢাকা শহরে দৈনিক চার থেকে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম সিটিতে দেড় থেকে দুই হাজার টন, রাজশাহীতে এক থেকে দেড় হাজার টন, খুলনায় আট’শ থেকে এক হাজার টন, বরিশালে সাত’শ থেকে এক হাজার টন এবং সিলেট ও রংপুর সিটিতে পাঁচ’শ থেকে সাত’শ টন বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে।
স্রেডা ২০২০ সালের মধ্যে বর্জ্য থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
স্রেডার চেয়ারম্যান তাপস কুমার রায়ের সভাপতিত্বে সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর পলিন টেমেসিস, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৫
এসআই/বিএস