ঢাকা: সিলেট ও মৌলভীবাজারে ইউরেনিয়াম খনির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ কে এম ফজলে কিবরিয়া।
শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ‘এনার্জি বাংলা’ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক জ্বালানি’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ দাবি করেন।
ফজলে কিবরিয়া বলেন, বিশ্বের যেসব খনি থেকে ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করা হয়, সেগুলোতে ৩শ’ থেকে এক হাজার পিপিএম মাত্রায় ইউরেনিয়াম রয়েছে। আর আমাদের সিলেট ও মৌলভীবাজারে রয়েছে ৫শ’ পিপিএম ইউরেনিয়াম। সে হিসেবে অনেক সম্ভাবনাময় বিবেচনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কতটুকু এলাকা জুড়ে এই ইউরেনিয়াম রয়েছে, আমরা সেটার সমীক্ষা শুরু করেছি। বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য কিনা সেটাও বিবেচনা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের মেঘালয়ে বড় ইউরেনিয়াম খনি রয়েছে। সিলেট খুব কাছাকাছি হওয়ায় এই এলাকায় ইউরেনিয়াম থাকাই স্বাভাবিক।
পরমাণু শক্তি কমিশন এই রিপোর্ট সরকারের কাছে পেশ করেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই পরমাণু বিজ্ঞানী বলেন, এ বিষয়ে এখনও সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ব্রহ্মপুত্রের বিশাল চরাঞ্চলে ইউরেনিয়ামসহ বিভিন্ন মূল্যবান খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য কিনা সেটাও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতেও অনেক মূল্যবান খনিজ বালু রয়েছে। সেগুলো আহরণ বাণিজ্যিকভাবে সম্ভব কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
ইউরেনিয়াম উচ্চ মূল্যের রূপালি-সাদা বর্ণের তেজস্ক্রিয় ধাতু। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত। এ ছাড়া ইউরেনিয়াম ব্যবহার করে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
১৭৮৯ সালে জার্মান বিজ্ঞানী মার্টিন হাইনরিখ ক্ল্যাপরথ ইউরেনিয়াম আবিষ্কার করেন। ১৮৪১ সালে বিজ্ঞানী ইউজিন পেলিকট ইউরেনিয়াম টেট্রাক্লোরাইড থেকে প্রথম ইউরেনিয়াম সংশ্লেষণ করেন।
১৮৯৬ সালে বিজ্ঞানী হেনরি বেকেরেল ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন। বিশ্বের ১৭টির বেশি দেশ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করে থাকে। প্রত্যেক বছর প্রায় ৫০ হাজার টন অশোধিত ইউরেনিয়াম আহরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৫/আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা
এসআই/টিআই