ময়মনসিংহ: গ্যাস সংকটের কারণে ময়মনসিংহ নগরীর শম্ভুগঞ্জ এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদ সংলগ্ন রুরাল পাওয়ার কোম্পানির (আরপিসিএল) বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে গেছে। যা মোট উৎপাদনের অর্ধেক বা তার চেয়েও কম।
একই সঙ্গে উৎপাদন কমে যাওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে রয়েছে বলেও দাবি করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় বিতরণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আরপিসিএল থেকে দৈনিক ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ গ্রিডে ৬৫ থেকে ১০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ দিতে পারছে।
একই সঙ্গে জামালপুর জেলার বেসরকারি মালিকানাধীন ৯৫ মেগাওয়াটের একটি পাওয়ার প্লান্ট বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। ফলে সেখান থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে না। মূলত এই কারণে দেশের কোনো স্থানে বিদ্যুতের ঘাটতি না থাকলেও ময়মনসিংহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
ময়মনসিংহের রুরাল পাওয়ার কোম্পানির (আরপিসিএল) প্রধান প্রকৌশলী এ.এইচ.এম রাশেদ জানান, মূলত গ্যাস নির্ভর আমাদের পাওয়ার প্লান্ট। এতে প্রতিদিন ৪২ এমএমসিএফটি গ্যাস প্রেসারের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু চাহিদার বিপরীতে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা গ্যাস পাচ্ছি মাত্র ২০ এমএমসিএফটি। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে।
তবে উৎপাদন ঘাটতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে দৈনিক ৩০ এমএমসিএফটি গ্যাস দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাসকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলী এ.এইচ.এম রাশেদ।
তিনি জানান, এই আদেশ বাস্তবায়ন হলে অর্থাৎ আরপিসিএল এ দৈনিক ৩০ এমএমসিএফটি গ্যাস সরবরাহ হলে ১৫৩ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
এদিকে উৎপাদন ঘাটতির কারণে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি (আরপিসিএল) বর্তমানে ক্ষতির মুখে রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা ক্ষতির মুখে আছি। টার্গেট অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিক্রি করা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি জাতীয় সমস্যার কারণে মেনে নিতে হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রকৌশলী এ.এইচ.এম রাশেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২২
এনটি