ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

মিয়ানমারে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ শিক্ষামেলা অনুষ্ঠিত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
মিয়ানমারে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ শিক্ষামেলা অনুষ্ঠিত

ঢাকা: ‘সাধ্যের মধ্যে গুণগত মানের উচ্চশিক্ষা’ স্লোগানে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ শিক্ষামেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

রোববার (৩ ডিসেম্বর) মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন স্থানীয় মেলিয়া হোটেলে মেলা উদ্বোধন করেন।

মেলায় মিয়ানমারের বিপুল সংখ্যক উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশী শিক্ষার্থী অংশ নেন।  

মেলায় বাংলাদেশের স্বনামধন্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি অংশগ্রহণ করে।  

শিক্ষামেলা উপলক্ষে দূতাবাস এক সেমিনারের আয়োজন করে। রাষ্ট্রদূত ড. মো.  মনোয়ার হোসেন তার স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে পরিণত হওয়ার পথে আছি।  

তিনি বলেন, এই অভিলক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা। রাষ্ট্রদূত বলেন যে এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বর্তমান সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেও উচ্চশিক্ষা প্রসারে উৎসাহ প্রদান করছে।  

তিনি আরও বলেন, যে বাংলাদেশের এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে স্বল্প খরচে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা দিয়েছে।  এই শিক্ষা মেলা শুধু দুই দেশের মধ্যকার দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্কেরই উন্নয়ন ঘটাতে সাহায্য করবেনা বা বরং তা দু’দেশের মানুষের মাঝেও যোগাযোগ স্থাপন করবে।  

তিনি আরও বলেন, যে এই মেলা মিয়ানমারের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশে উচ্চ-শিক্ষার নতুন দ্বার উন্মোচিত করবে।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে আগত অংশগ্রহণকারী সব বিশ্ববিদ্যালয়, মিয়ানমারের উৎসুক শিক্ষার্থী-সুধীজনকে মেলায় সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান কোর্স এবং আনুষাঙ্গিক সুবিধাদিসহ অন্যান্য বিষয়গুলো তুলে ধরেন।  

উপস্থাপনার পরে শিক্ষার্থী ও আগত অতিথিরা ভর্তি প্রক্রিয়া ও বিদ্যমান কোর্স সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিদের কাছে জানতে চান।  

মিয়ানমারের শিক্ষার্থী, ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা,  শিক্ষাবিদ, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রাইভেট স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বক্তব্য রাখেন।  

তিনি তার প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সহযোগিতার প্রস্তাব দেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুন সম্প্রতি ‌‘ক্যাম্পাস কানেক্ট’ শিরোনামে জনকূটনীতিমূলক নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে মিয়ানমারের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জাদুঘর এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংস্থার সাথে যোগাযোগ স্থাপন এবং দু’দেশের সমপর্যায়ের সংস্থাসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বিনিময় এবং দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৩
টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।