ইতালির দ্বীপ ল্যাম্পেদুজা থেকে বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে অন্তত ২৬ জন অভিবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে।
লিবিয়া থেকে নৌপথে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
ইতালির গণমাধ্যম আনসা'র বরাত দিয়ে জার্মান গণমাধ্যম বুধবার এই সংবাদ জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, উদ্ধার কার্যক্রম এখনও চলমান রয়েছে। তবে এই অভিবাসীরা কবে থেকে সাগরে ভাসছিলেন তা জানা যায়নি।
আনসা'র খবরে বলা হয়েছে, নৌকাগুলো লিবিয়ার ত্রিপলি থেকে ছেড়ে আসে। নৌকায় থাকা যাত্রীরা মূলত পাকিস্তান, সুদান ও সোমালিয়ার নাগরিক ছিলেন।
জীবিত বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বরাতে জানা গেছে, দুইটি নৌকায় মোট ৯০ থেকে ১০০ জনের মতো যাত্রী ছিল। এদের মধ্যে আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ জন এখনো নিখোঁজ।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৬১ জনকে জীবিত উদ্ধার করে লাম্পেডুজার ইমব্রিয়াকোলা উদ্ধারকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসক, মনোবিজ্ঞানী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয় সংস্থার কর্মীরা।
প্রসঙ্গত- এ পর্যন্ত শুধু চলতি বছরেই মধ্য ভূমধ্যসাগরে অবৈধ নৌপথে ৬৭৫ জনের বেশি অভিবাসী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফ্রন্টেক্স।
অন্যদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, নৌকাটিতে প্রায় ১০০ জন যাত্রী ছিল।
বেঁচে ফেরা যাত্রীদের বরাত দিয়ে ইউএনএইচসিআর জানায়, নৌকাটি লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশে যাচ্ছিল। এতে ৯২ থেকে ৯৭ জন যাত্রী ছিলেন। তবে কতদিন ধরে তারা সমুদ্রে ছিলেন, তা স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে আগস্ট মাসে ফ্রন্টেক্স প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইউরোপে প্রবেশের জনপ্রিয় ঝুঁকিপূর্ণ এই পথে জাতীয়তার দিক থেকে বাংলাদেশি, মিশরীয় ও আফগানরা শীর্ষস্থান দখল করে আছে।
আরএ