ফ্রান্সসহ ইউরোপজুড়ে শুরু হয়েছে বছরের প্রথম বড় ধরনের তাপপ্রবাহ। ইতোমধ্যেই দক্ষিণ ফ্রান্সের কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।
মৌসুমি গ্রীষ্মে এমন উষ্ণতা অস্বাভাবিক নয়। তবে এবারের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের স্কুলগুলোতে সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের জন্য খোলা হয়েছে কুলিং সেন্টার। কিছু শহরে পানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং কৃষিক্ষেত্রে পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘২০২৫ সালে এই প্রথম বড় তাপপ্রবাহ ইউরোপের জলবায়ু সংকটের একটি সতর্ক সংকেত। দক্ষিণ ফ্রান্স, স্পেন ও ইতালির কিছু অংশে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে, যা জনস্বাস্থ্য, কৃষি ও বিদ্যুৎ খাতের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। ’
এটা এই বার্তারই প্রতিধ্বনি করে যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন আর ভবিষ্যতের আশঙ্কা নয়—এটি বর্তমান বাস্তবতা।
তীব্র গরমের কারণে রেলপথের কিছু অংশে গতি সীমিত করা হয়েছে। রাস্তাঘাটে গরমের কারণে অ্যাসফল্ট গলতে শুরু করেছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে পরিবহন কর্তৃপক্ষ। পর্যটন খাতেও কিছুটা প্রভাব পড়ছে। ফলে বেশ কয়েকটি পর্যটন এলাকাও বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নাগরিকদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়া প্রচুর পানি পানের এবং ঠান্ডা পরিবেশে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষভাবে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের প্রতি বিশেষ সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে, তাই জরুরি প্রস্তুতি এবং সচেতনতা প্রয়োজন। Severe Weather Europe অনুসারে, এই সপ্তাহে ফ্রান্সের বিভিন্ন অংশে ৪১‑৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে। তাই ইউরোপজুড়ে এখন নতুন করে আলোচনায় এসেছে—জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া কীভাবে দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করছে।
উল্লেখ্য, এই গ্রীষ্মে ফ্রান্সে তাপমাত্রার সর্বোচ্চ রেকর্ড স্থাপিত হয়েছে। বিশেষ করে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একাধিক জায়গায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে।
আরবি