ঢাকা: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সুইজারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) আবেদনপত্র জমা ও নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গত ৭ আগস্ট জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলেট বিভাগে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
জেনেভার প্রবীণ প্রবাসী ড. ইফতেখার আহমেদ ও তার স্ত্রী মিসেস আহমেদ প্রথম এমআরপি পাসপোর্টের আবেদনপত্রে ডিজিটাল স্বাক্ষর দেন এবং ছবি তোলেন।
এখন দূতাবাস এ সংক্রান্ত তথ্যাবলী সুইজারল্যান্ড প্রবাসী প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশিদের কাছে পৌঁছাতে শুরু করেছে।
এমআরপির আবেদনের নিয়মাবলী
৭ আগস্ট বিকেলে জেনেভার স্থায়ী বাংলাদেশ মিশনের নবনিযুক্ত কাউন্সিলর তৌফিক ইসলাম শাতিল গত লিখিত বার্তায় জানান, সুইজারল্যান্ডে বসবাসকারী সকল প্রবাসী বাংলাদেশি এমআরপির আবেদন করতে পারবেন। এমআরপি আবেদন করার জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করে সঙ্গে দুই কপি ছবি, পুরনো পাসপোর্ট এবং ব্যাংকে অর্থ জমাদানের রিসিট দূতাবাসে জমা দিতে হবে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা বাংলাদেশ থেকে ইস্যুকৃত জন্মসনদ (১৭ ডিজিটসহ) আছে তাদের সেটি জমা দিতে হবে। যাদের জন্মসনদ বা জাতীয় পরিচয় পত্র নেই (বিশেষত যারা বিদেশে জন্ম গ্রহণ করেছেন) তাদের দূতাবাস থেকে জন্মসনদ নিয়ে এমআরপির আবেদন করতে হবে। এমআরপির আবেদনের জন্য ফি বাবদ ১০০ সুইস ফ্রাঙ্ক (সাধারণ) ও জরুরি প্রয়োজনে ২০০ সুইস ফ্রাঙ্ক নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
লিখিত বার্তায় জানিয়ে দেওয়া হয়, এমআরপি পাসপোর্টে কোনো পরিবর্তন, পরিমার্জন কিংবা সংশোধন সম্ভব নয়। এছাড়া, সন্তানদের ক্ষেত্রে আগের মত এন্ডোর্সমেন্ট করা হবে না, বরং পৃথক পাসপোর্ট নিতে হবে। এমআরপি নেওয়ার জন্যে প্রত্যেক আবেদনকারীকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ডিজিটাল ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে হবে। এ সংক্রান্ত সাক্ষাৎকারের জন্য দূতাবাসে ফোন করে সময় নিতে হবে।
এমআরপি হাতে পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে কমপক্ষে মাসাধিককাল অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানানো হয় লিখিত বার্তায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৫
এইচএ/