শেষ মুহূর্তে মেলার প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে চলছে। দলমত নির্বিশেষে মেলায় অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাঙালিরা।
১৬ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মেলায় রকমারি অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশভিত্তিক ‘ফ্যাশন শো’ ছাড়াও থাকবে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা। পাশাপাশি বিকেলের মনোরম বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবে টোকিওর সুপরিচিত সাংস্কৃতিক সংগঠন উত্তরণ কালচারাল গ্রুপ ও স্বরলিপি একাডেমি। এছাড়াও শিশুদের জন্য থাকবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
বৈশাখী মেলা সমন্বয় কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বৈশাখী মেলাকে কেন্দ্র করে ছোটদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ফ্যাশন শো’র মহড়া শুরু হয়েছে। প্রতি শনি ও রোববার এ মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারেও মেলাতে বাংলাদেশ থেকে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে টোকিও আসবেন বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় শিল্পী। তাছাড়া অন্যান্যবারের মতো থাকবে জাপানি ও বিদেশিদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় বাংলা খাবারের নানা আয়োজন। থাকছে ঐতিহ্যবাহী শতাধিক স্টল।
২০০৫ সালে নিশিগুচি পার্কে স্থাপিত টোকিও শহীদ মিনারের ঠিক কাছেই অনুষ্ঠিতব্য ‘বৈশাখী মেলা’ সর্বাঙ্গীন সফল করার জন্য তোশিমা ওয়ার্ড অফিস, জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটি ও মেলা উদযাপন পরিষদ ব্যস্ত সময় পার করছে।
জাপান বাংলাদেশ সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. শেখ আলীমুজ্জামান জানিয়েছেন, টোকিওতে বিগত একযুগেরও বেশি সময় ধরে নিয়মিত বৈশাখী মেলা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানটি প্রতিবছর জাপান বাংলাদেশ সোসাইটি (জেবিএস) আয়োজন করে থাকে। জেবিএস আশা করে, বরাবরের মতো এ বছরেও মেলার সঙ্গে প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা অটুট থাকবে এবং মেলা পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে মেলাটি আগের মতোই পরিচালিত হবে।
তিনি জানান, যারা এখনও স্টলের জন্য আবেদন করেননি, দ্রুত আবেদন করার অনুরোধ রইলো। হাতে একদম সময় নেই। আবেদনের লাস্ট ডেট আগামী ৩১ মার্চ।
এবার মেলায় দু’টি কমিটি থাকছে- সমন্বয়ক ও উপদেষ্টা কমিটি। সমন্বয়ক (কোঅর্ডিনেটর) কমিটি অতীতের মতোই মেলার অনুষ্ঠান পরিচালনায় নির্বাহী ভূমিকা পালন করবে। উপদেষ্টা কমিটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক, আঞ্চলিক ও অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে অতীতের মতোই সমন্বয়ক কমিটির মাধ্যমে গঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
এসএনএস