ইকে ইউলিয়ানা (৩৬) ইন্দোনেশীয়। ভালোবেসে বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের পলাশকে।
এখন পলাশকে দিয়েই বাংলাদেশকে চেনেন ইউলিয়ানা। বলছেন, ‘বাংলাদেশ অসম্ভব ভালো। আরো ভালো বাংলাদেশের মানুষ। আর ভালো না হলে কি পলাশের মত, এমন করে এভাবে কেউ ভালোবাসার ঢেউয়ে আমাকে ভাসিয়ে নিতে পারে!
আমি বলবো,পলাশের ভালোবাসার শক্তিই টেনে নিয়েছে ওর পানে বাংলাদেশের পানে। বলছিলেন ইউলিয়ানা। ’ পুরো নাম ইকে ইউলিয়ানা। বাবা এয়ারফোর্সের বড় অফিসার। দুই বোন এক ভাই নিয়ে সুখের সংসার। ছিলেন একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল। বেড়ে উঠেছেন ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রদেশ বানডুং'এর কপো মার্ঘায়ু সেলাতানে। ২০০৩ সালের ঘটনা। জাকার্তায় গেলেন রোটারি ক্লাবের একটি সম্মেলনে। সেখানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে উড়ে এসেছেন সিলেটের আরমানুর রহমান পলাশ। বাবা মৃত লুৎফর রহমান। সিলেটের কাজলশাহ এলাকার পলাশ দেশে পড়েছেন ক্যাডেট কলেজে। শৃঙ্খলায় বাঁধা জীবন।
পরের বছর ইউলিয়ানার শৃঙ্খলে জড়িয়ে গেলেন তিনি। এক বছরের প্রেমের ইনিংস শেষে বিয়ে করলেন ২০০৪ সালে। বধূ করে ইউলিয়ানাকে নিয়ে গেলেন বাংলাদেশে।
২০১০ সাল থেকে ইন্দোনেশিয়ায় বসবাস করছেন এই দম্পতি। সেখানে দু’টি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল পরিচালনা করেন তারা। ইকে ইউলিয়ানা বাংলানিউজকে জানান,পলাশের মাঝে আমি প্রকৃত ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছি। জানি না, স্থানীয় নাগরিককে বিয়ে করলে এত সুখী হতাম কি'না?
পলাশের সততা, বিশ্বস্ততা আর ভালোবাসাই চিনিয়েছে নতুন এক বাংলাদেশকে।
এখন আমার স্বজন ও প্রতিবেশীরা ভালোবাসে পলাশকে। পলাশ মানেই ওদের কাছে ভালোবাসার এক বাংলাদেশ। জানান ইকে ইউলিয়ানা।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
আরআই