সোমবার (৩ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেলে দোহার আবু হামোর মসজিদে এই নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।
এতে অংশ নেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ, বেশ ক’জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা।
দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে কাতারের ওয়াকরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ৩০ জুন দুপুরে ইন্তেকাল করেন শহীদুল হক মামা। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুর খবরে কাতারসহ দেশ-বিদেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। দোহায় জানাজার পর সোমবার রাতেই শহীদুল হক মামার মরদেহ কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ভোরে এ মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর কথা।
মরহুমের ছেলে খালেদ বিন হক শূভ বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার পর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার বাবার মরদেহ।
সুইডেনপ্রবাসী একাত্তরের এই গেরিলা যোদ্ধা মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে করা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিতীয় সাক্ষী ছিলেন। গত ২৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে সুইডেন যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কাতারের ওয়াকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় পৌঁছালে তার মরদেহ সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। সেখানেই তাকে দেওয়া হবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ‘গার্ড অব অনার’।
দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদুল জামিয়ায় নামাজে জানাজা শেষে শহীদুল হক মামাকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরশায়িত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৭
এইচএ/