ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান উদযাপনে পর্তুগাল অ্যাম্বেসি

সমীর দেবনাথ  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান উদযাপনে পর্তুগাল অ্যাম্বেসি বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান।

পর্তুগাল: উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি উদযাপন উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

এরপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু নির্মাণে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা এবং অর্জন নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তারা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।  

রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান বক্তব্যের শুরুতে পানি প্রবাহের দিক দিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী পদ্মার ওপর সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রথম মেয়াদের শেষপ্রান্তে ২০০১ সালে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিভিন্ন প্রতিকূলতার পর তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১২ সালে তিনি বাংলাদেশের নিজ অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের প্রথিতযশা পুর-কৌশলীসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের কারিগরি তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সালে টেন্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পাইলিং স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর প্রথম  নির্মাণকাজ শুরু হয়। সাত বছর পর এই সেতুর কাজের সফল সমাপ্তিতে দেশবাসি আনন্দে উচ্ছ্বসিত।

দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত দেশের এক তৃতীয়াংশ এলাকা রাজধানী ঢাকার সাথে সড়কপথে যুক্ত হবার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদ্মাসেতুর উদ্বোধন বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করার পাশাপাশি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। বিদেশি অর্থায়ন ছাড়া এই কঠিন প্রকল্পটির সফল সমাপ্তি  বাংলাদেশের জনগণকে রপকল্প ২০৪১ অনুসারে ২০৪১ সালের মধ্য একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার কাজে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। দেশের মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সালাম জানাচ্ছে তাঁর সাহসিকতা আর সংকল্পের দৃঢ়তার জন্য। যার ফলে বাংলাদেশ তার ৫১ বছরের ইতিহাসের এই অন্যতম প্রধান সাফল্য অর্জন করলো আর জনগণের  দীর্ঘ-লালিত স্বপ্ন পূরণ হলো।       

আলোচনা সভা শেষে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে নির্মিত প্রতিপাদ্য সংগীত এবং বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া এবং প্রার্থনা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।