চাঁদপুর: চাঁদপুরে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বেড়েছে কুয়াশা। ফলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের।
তবে কৃষিবিভাগ বলছে- মাঠপর্যায়ে কৃষকদের বীজতলা রক্ষার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জেলায় এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৬৩ হাজার ৪৭৫ হেক্টর।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার ইসলামপুর গাছতলা গ্রামের ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে সরেজমিন দেখা হয় বোরো বীজ তলা। দুপুর পর্যন্ত বীজতলাগুলো থেকে কুয়াশা কাটেনি। অনেক বীজতলার পাতায় ফোটা ফোটা কুয়াশার পানি দেখা গেছে। আজকে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গাছতলা এলাকার কৃষক মনু পাঠান জানান, আমাদের এই গাছতলা নদীর পাড়ে অনেকেই বোরো ধানের বীজ লাগিয়েছেন। এখন পর্যন্ত বীজগুলো ভালো আছে। তবে কুয়াশা ও সূর্যের আলো দেখা না গেলে বীজতলাগুলোর ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
একই এলাকার কৃষক মনসুর তালুকদার জানান, কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় আমাদের কাজ করতেও অনেক কষ্ট হয়। এরপর বীজতলাসহ মৌসুমী সবজির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী জানান, কুয়াশা ও শীতের কারণে বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। অনেক সময় বীজের চারা হলুদ হয়ে যায়। কুয়াশা বেশি পড়লে নীচু জমিতে এই সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে চত্রাকনাশক স্প্রে করার জন্য কৃষকদের বলা হয়েছে। এ সমস্যা থেকে রক্ষায় কৃষকরা সকালে উঠে কুয়াশার পানি সরিয়ে নিতে পারেন এবং বীজতলার জমিগুলোতে হালকা পানি দিয়ে রেখে সকালে সরিয়ে নিতে পারেন।
তিনি আরও জানান, এই শীতে আলুর ক্ষেত্রে তেমন ক্ষতি হবে না। কারণ আলু ১৫-২০ দিন আগে লাগানো হয়েছে। সরিষার ক্ষেত্রে কিছুটা পাতায় কিংবা ফলনে দাগ পড়তে পারে। ফুল আশার আগে এমনটি হলে চত্রাকনাশক ব্যবহার করতে পারবে। পরে হলে পারবে না। পুরো জেলায় আমাদের কর্মকর্তাদের এসব বিষয়ে কৃষকদের কাছে গিয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৪
আরএ