কুমিল্লা: বিনাধান-২৫ দেখতে বাসমতির মতো চিকন ও লম্বা, খেতে সুস্বাদু। সেচ, সার কম ব্যবহার করেও কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা), উপকেন্দ্র কুমিল্লা আয়োজিত কৃষক প্রশিক্ষণে বক্তারা এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লার প্রশিক্ষণ হলে বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের সহযোগিতায় বিনাধান-২৫ এর জাত পরিচিতি, চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ কলাকৌশল শীর্ষক এ কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তারা বলেন, প্রতিবছর বিভিন্নভাবে একভাগেরও বেশি হারে ফসলি জমি হ্রাস পাচ্ছে। এর মধ্যে নতুন নতুন আবাসন, রাস্তা, ব্রিজ, মিল ফ্যাক্টরি গড়ে ওঠার ফলে এসব জমিগুলো চাষের উপযোগিতা হারাচ্ছে। অপরদিকে প্রতিবছর জনসংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। এ বিশাল জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য অল্প জমিতে বেশি ফসল উৎপাদন, এক ফসলি জমিকে দুই ফসলি, দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলি, তিন ফসলি জমিকে চার ফসলের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি।
দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বিনাধান-২৫ অনন্য ভূমিকা রাখবে বলেও দাবি করেন তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আক্তারুজ্জামান। ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো.শহিদুল ইসলাম, বিনার উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সাকিনা খানম।
বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপপরিচালক কৃষিবিদ আইউব মাহমুদ, বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন, ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন বিতরণ প্রকল্প মনিটরিং অফিসার ড. মো. আমানুল ইসলাম, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মো. আবু তাহের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪
এসএএইচ