ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

রোগে-পোকায় আমনের ফলন কমার আশঙ্কা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
রোগে-পোকায় আমনের ফলন কমার আশঙ্কা অনেক এলাকায় বের হওয়া নতুন শীষও কালো হয়ে যাচ্ছে। ছবি: বাংলানিউজ

ঠাকুরগাঁও: আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ ও রোগ-বালাইয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকেরা। এ পরিস্থিতিতেও কৃষি বিভাগের সহযো‍গিতা চেয়ে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাদের।

পোকা দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে খাদ্য উদ্বৃত্তের এ জেলায় ধানের ফলন লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

সরেজমিনে গেলে কৃষকেরা জানান, আমনের বাম্পার ফলনের  আশায় বুক বেঁধেছিলেন তারা।

কিন্তু ক্ষেতের ধানে হঠাৎ  করে খোলপচা, খোলপোড়া ও গোড়াপচা রোগের পাশাপাশি কারেন্ট পোকা, লেদা পোকা, মাজরা পোকা, নলিমাছি, চুঙ্গি পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বাজারের কীটনাশক দিয়েও এসব পোকার আক্রমণ ও রোগ ঠেকাতে পারছেন না। অনেক এলাকায় বের হওয়া নতুন শীষও কালো হয়ে যাচ্ছে।  

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের কৃষক বুলবুল বলেন, ‘আমন ধানে এবার কারেন্ট পোকা ও মাজরা পোকার উপদ্রব বেশি হওয়ায় আমরা কৃষকরা বিপাকে পড়েছি’।

বড়গাঁও ইউনিয়নের মোলালখুড়ি গ্রামের বাবুল বলেন, ‘কীটনাশক দিয়েও কাজ হচ্ছে না’।

বড়গাঁও ইউনিয়নের চাষী মকবুল বলেন, ‘আমার ২ বিঘা জমিতে মাজরা পোকা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু পোকা দমনে  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারীদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ পাচ্ছি না। তারা মাঠ পর্যায়ে আমাদের আমন ধান দেখতেও আসেন না’।

বাজারের কীটনাশক দিয়েও  পোকার আক্রমণ ও রোগ ঠেকাতে পারছেন না চাষিরা।  ছবি: বাংলানিউজকৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, জেলার ৫টি উপজেলায় এবার আমনের চাষ হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিকটন চাল।

কৃষি বিভাগ ১৫ হেক্টর জমিতে পোকা ও রোগাক্রান্তের কথা স্বীকার করলেও বাস্তবে তা কয়েকগুণ বেশি বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের। এ পরিস্থিতিতেও মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের দেখাই মিলছে না বলেও অভিযোগ করছেন তারা।

ফলে রোগ-পোকা না দমালে ফলন ভালো না হওয়ার আশঙ্কা করছেন ক্ষেতের ফসল নিয়ে দিশেহারা চাষিরা।

তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কে এম মাউদুদুল ইসলাম পোকার আক্রমণের কথা স্বীকার করলেও মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের নজরদারি রয়েছে বলে দাবি করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।