ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

২০ হাজার ধানকাটা শ্রমিক যাচ্ছেন দক্ষিণের জেলায়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২১
২০ হাজার ধানকাটা শ্রমিক যাচ্ছেন দক্ষিণের জেলায় ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: নীলফামারী থেকে ২০ হাজার ধানকাটা শ্রমিকরা যাচ্ছেন দক্ষিণের জেলায়।  কঠোর লকডাউনে যানবাহন বন্ধ থাকায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পর্যাক্রমে এসব শ্রমিকদের মাইক্রোবাসে করে পাঠানো হচ্ছে।

গত ১৮ এপ্রিল থেকে ধানকাটা শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়েছে।

ধানকাটা মৌসুমের এ সময় নাটোর, নওগাঁ, সান্তাহার, পাবনা, নোয়াখালী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, ঈশ্বরদী প্রভৃতি এলাকায় বোরো ধান পেকেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় কৃষকরা দ্রুত ধানকাটা ও মাড়াই করে ঘরে তোলার প্রস্ততি নিচ্ছেন। কিন্তু করোনার কারণে লকডাউনে পরিস্থিতিতে শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুর উপজেলা থেকে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক ধানকাটার জন্য পাঠানো হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে এসব শ্রমিকদের পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
 
সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন ও কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগম বাংলানিউজকে জানান, ধানকাটা শ্রমিকদের কাছে মোবাইলফোনে এসএমএস আসছে কোথায় কোথায় ধানকাটা শ্রমিক লাগবে। কারণ ওইসব এলাকায় এর আগেও গিয়েছিল। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মাইক্রোবাস ঠিক করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের পাঠানো হচ্ছে। দুই দফায় সৈয়দপুর থেকে ৪৪ জনকে পাবনা ও নাটোরে পাঠানো হয়েছে।

ছবি: বাংলানিউজ

ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজার রহমান বাংলানিউজকে জানান, ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা ও উপজেলা প্রশাসনের সুপারিশপত্র নিয়ে যেসব কৃষি শ্রমিকরা আসছেন, তাদের নিরাপদে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।

ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা শবনম বাংলানিউজকে জানান, এবারে প্রায় ১০ হাজারের মতো কৃষিশ্রমিক দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান কাটতে যাবেন। কোনো হয়রানি ছাড়াই কৃষি শ্রমিকদের নিরাপদে যাওয়ার সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ধানকাটা শ্রমিক বেলাল হোসেন, বারাকাত, ফজলে হোসেন বাংলানিউজকে জানান, প্রতি বছর এ সময় ধানকাটার জন্য ট্রেন ও বাসে চড়ে গন্তব্যে যেতেন আর কিছু পয়সা উপর্জনের করে বাড়ি ফিরতেন তারা। কিন্ত গত বছর থেকে করোনার কারণে সব শেষ হয়ে গেছে তাদের। এলাকায় তেমন কাজও নেই। তাই চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে ধরে ধানকাটার জন্য দক্ষিণের জেলায় যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।