ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

‘খাদ্যশস্য সংগ্রহে কৃষক যেন হয়রানির শিকার না হয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২১
‘খাদ্যশস্য সংগ্রহে কৃষক যেন হয়রানির শিকার না হয়’ সাধন চন্দ্র মজুমদার

ঢাকা: কোনো কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যায় এবং কোনোভাবেই যেন হয়রানি না হয় সেজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না।

খাদ্যশস্য সংগ্রহে ধানকে প্রাধান্য দিতে হবে। পাশাপাশি গুদামের ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য খামালের উচ্চতা বাড়ানোসহ কিছু দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন।

মঙ্গলবার (৪ মে) মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।  

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এবারের বোরো মৌসুমে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে এবং ১১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা হবে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশের মতো আমাদের দেশও একটা মহামারির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে মিলেমিশে, ভালো আচরণ করার মাধ্যমে, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিত্য-নতুন উদ্যোগ নিয়ে চলমান বোরো সংগ্রহ শতভাগ সফল করতে হবে। বর্তমান সময়ে করোনার সঙ্গে আমরা যেমন যুদ্ধ করছি। তেমনি করোনা পরবর্তী খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করার জন্যেও আমাদের এখন থেকেই যুদ্ধ করতে হবে।

করোনা মোকাবিলা করে সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্যশস্য সংগ্রহে যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সেজন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। এছাড়া সংগ্রহ কার্যক্রমে সবাইকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মুখে মাস্ক পরার আহ্বান জানান তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থেকে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, কোনোভাবেই পুরান চাল নেওয়া যাবে না। চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে সংগ্রহকৃত চাল এবারের বোরো ধানের চাল। পাশাপাশি বস্তার গায়ে স্টেনসিল ব্যবহার করার নির্দেশ দেন তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট, নাটোর, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা ও দিনাজপুর জেলার জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও মিল মালিক প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২১
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।