ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

জোয়ারের পানি ঢুকছে ক্ষেতে, দুশ্চিন্তায় কৃষক

মো. নিজাম উদ্দিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
জোয়ারের পানি ঢুকছে ক্ষেতে, দুশ্চিন্তায় কৃষক

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে বাড়তে শুরু করেছে জোয়ারের পানি। সেই পানি ঢুকে পড়ছে উপকূলীয় এলাকার ফসলি ক্ষেতগুলোতে।

বিশেষ করে জোয়ারের পানিতে মরিচ, সয়াবিন ও বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং সবজি ক্ষেতে ঢুকে পড়ায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।  

লক্ষ্মীপুর সদরের চররমনী মোহন, কমলনগর এবং রামগতি অংশের মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় অরক্ষিত হয়ে আছে ফসলি ক্ষেত এবং বসতবাড়ি। এতে খুব সহজেই জোয়ারের পানিতে তীরবর্তী জমিগুলো নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।

রোববার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন এলাকায় গিয়ে জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত ফসলি ক্ষেতের চিত্র দেখা গেছে।  

কৃষক ও স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতি বছর বৈশাখ মাসে মেঘনায় পানি বাড়তে থাকে। এ সময় নদীর পানিও ফুলে উঠে। ফলে মাঝে মধ্যে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি এসে ফসলের সর্বনাশ করে।

কমলনগর উপজেলার মধ্য চর মার্টিন গ্রামের কৃষক নুরুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, জোয়ারের পানিতে তার মরিচ ক্ষেত ও ধান ক্ষেতে পানি ঢুকে গেছে। মরিচ ক্ষেতে বেশিক্ষণ পানি থাকলে গাছ মরে যায়। এছাড়া বোরো ধানের ক্ষেতে যদি নোনা পানি ঢুকে, তাতে ধানেরও ক্ষতি হতে পারে। তাই ক্ষেত থেকে পানি নিষ্কাশন করে দিচ্ছি। তাড়াতাড়ি মরিচ ক্ষেত শুকিয়ে গেলে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবো।

তিনি জানান, নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় কৃষকরা হুমকির মধ্যে আছেন। সামনে জোয়ারের পানি বাড়তে পারে। তখন তাদের ক্ষতির পরিমাণও বাড়বে। কৃষকরা ধারদেনা করে চাষাবাদ করছে। তাই দ্রুত তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

কমলনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আতিক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, মেঘনা নদীর তীরবর্তী কয়েকটি এলাকার ফসলের ক্ষেতে জোয়ারে পানি ঢুকে পড়েছে। সাথে সাথে জোয়ারের পানি নামতে পারলে ফসলের ক্ষতি কম হবে। তবে পানি ক্ষেতে জমা থাকলে ক্ষতির মধ্যে পড়বে কৃষকরা। তাই কৃষকরা যাতে দ্রুত ক্ষেত থেকে জোয়ারের পানি সরিয়ে ফেলে সে পারামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।