কিছুদূর রহস্য উন্মোচন করা যাক—পেলাস্টিকের দা দিয়ে কাটতে গিয়ে
বেড়েছি নিজেই। এতসব লোক উজানে যায় অথচ ভাটিতে পরে থাকে বালুকণা
সেইসব বালু কণার ফিরিস্তি বর্ণনা করা হলে, ক্ষুদ্র-বৃহৎ কোনও কিছুই ঘটবে না।
দেখার বর্ণনায় যৌনতা আসেনি তবুও চাল শুরু হলো জীবনের
ভাটির দিকে পড়ে থাকা বালিয়াড়ি হাঁসে—অট্টকেলকেলিতে ঘুম ভাঙ্গে।
তাকেই ছুঁয়ে দেখি প্রথম, যার বুকের উপর দিকে কালো একটি তিল ছিল।
ধরতে গিয়েও বুঝে উঠিনি—শুধু জানতে চেয়েছি, তিলের নিচে কী ছিল?
তার তিলের নিচে কোনও দিন যাওয়া হয়ে ওঠেনি, অথচ সূর্য অস্ত গেল না
আবার উদিত হলো অর্ধ হেলে পড়া অরুণ পূব দিগন্তের শেষে।
কেউ আটকাতে পারে না যখন গড়িয়ে পড়ে সকল পানি
পিপাসার সীমানা প্রসারিত হলে তোমার সাথে দেখা হয়
তোমার রিক্সাওয়ালার গায়ের গন্ধ, আমারে শ্রমিক সংগঠক করে তোলে
সংগঠনে বক্তৃতার বুলি শিখি—কী কথায় মুগ্ধ হয় মানুষের চোখ?
তবুও নেতা না হয়ে, প্রেমিক সকলে গান লিখি—হরাবার ভয়।
হারাতে হারাতে শরীর ছুঁয়ে দেখি চমৎকার আঁকাবুকা শিল্পকর্ম
কে যেন বলে ওঠে, ‘যোদ্ধা হলে বারুদের গন্ধ মধুর মত লাগে’
মধুর সন্ধানে মৌমাছির ঝাঁক থেকে বিষ সংগ্রহ করেছি
বিষ বেদনায় শরীরে শান্তি নেমে আসে, অন্য কাউকে ছুঁয়ে
ভুলে তার ঠোঁট না চুষে—বেগুনি রঙের গলিতে ঢুকে যাই
পৃথিবী যেন দালানকোঠার মাঝ দিয়ে গলি ভর্তি শরবত
এক গ্লাস পান করে আরেক গ্লাস সন্ধান না করে সমাপ্ত হবে না।
সমাপ্তির কাছাকাছি যাব বলে অন্য কারও কাছে ভেসে যাই
ভাসা পেয়ে তেলাপিয়া আহার করে মিষ্টি পানিতে, ঝিলিক মারা দুপুরে।
আহার হয়ে সন্ধান করি—কোথা থেকে এলে?
রূপ নয়, লাবণ্য নয়, ঘামে ভেজা নাগ নয়, ঝুমুর মাখা হাসি নয়
অন্যকিছু—ভাষা তার প্রকাশে অযৌক্তিক
আমাদের কাগজি লেবুর দোকানে—রঙবাহারী স্রোতে ভেসে যাই
অকূল সাগরে কূল কিনারা না পেয়ে একটুকরো কাঠ নিয়ে বেঁচে থাকি
সাগর জানে স্রোত কত মধুর—শরীর জানে, আবার জানে না।
তোমারও নাকি স্বপ্নদোষ হয়?—এই বলে আলোচনা শুরু
আলোচনায় আঁকাবোকা শরীর থেকে শরীর, শরীর থেকে শরীর।
তোমার সাথে কথা হবে না কখনওই, তমি বড্ড ফালতু লোক
ফালতু কর্ম শেষে বুঝেছি, মধু থাকে পৃথিবীর অন্য কোনও জায়গায়।
জায়গা থেকে জায়গা ঘুরে আকাশ দেখাবে বলে কথা হলো
সেই কথায় আকাশ ভাঙে, তারারা গজিয়ে উঠে অনন্তবীথিতে
তারাদের দল মাথা ডেকে নিয়ে বসে পড়ে, আবার ওঠে।
কিছু কথা মৌখিক, মনে মনে দিস্তা খরচ হতে থাকে—আমাদের আলাপন।
আলাপন বেহেস্তেমুখি, কী থাকে আনন্দ কূলের পাড়ে?
ছিঁড়ে যাওয়া মুখমণ্ডল শান্তি দেবে জেনে ছিন্নভিন্ন হই
অথচ এক পক্ষ ঠিকই জয়যুক্ত হয়
বিজয়ীর বিচ্ছিরি কাণ্ড-কারখানা পরাজিতকে তুচ্ছ করে।
পরাজয়কে অহঙ্কারযুক্ত অলঙ্কার হিসাবে ধরে নেই
এই কথা কাউকে বলে আসিনি অজস্র মাইল পাড়ি দিয়ে।
পাপ কাণ্ড ভালোলাগে, তোমার হাতটা আরও নিচের দিকে নিয়ে যাও
আমার কুণ্ডলিতে যে আগুন, তোমার কুণ্ডলিটা কোথায়?
আসো আমরা বারুদ-বারুদ খেলা করি।
তোমাকে চেনা চেনা লাগে, কতকাল থেকে সন্ধানে ছিলাম তোমার
আটলান্টিকার বরফগুলান গাঢ় হয়ে আসে—আঃ হাঃ শ্বেতী বরফ!
এইবার ঠাণ্ডা বুঝে জড়িয়ে ধরে থাকি, যদি না শীতকাল হয়
শীতকাল এলে একা একা ভালোলাগে ভালোবাসাবাসি জানি না।
অথচ মুর্খ ছিলাম তোমার দুয়ারে কয়েক লক্ষ বছর আগে
শিক্ষার বিস্তার ঘটে গেলে, মুর্খতা ঘুঁচে যাবার সামিল
জালিয়াতির জাপ ডান হাতে নিলে—হুজুরের কড়া নির্দেশ
‘হলুদ সুতা যেন না খোলে’
পড়ে থাকি সেইসব সুতা হাতে ফিরে ফিরে আমার যেন জ্বর না আসে
জ্বর থাকা শরীরে, ঢিল মারে যতসমস্ত ফুল পাঁপড়ি দিয়ে
সন্ধানের আরও গভীরে গেলে তাউসনিয়া জ্বর ভালোবাসে।
মাথায় পট্টি লাগিয়ে শান্তির মিছিলে শরিক হই মাঝরাতে
সকাল যেন না আসে কোনদিন আবার যেন শুরু হয় মাঝরাত।
দু’একবার কথা দিয়ে না রাখা ভালো—তাতে যেন তৃপ্তি বাড়ে
ওইসব বাড়াবাড়ি হলে ক্ষতি নেই, বাড়াবাড়ি অবলম্বন দেয় জীবনের।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৫