নিজস্ব রেলগাড়ি
___________________________________
নিজেই নিজের স্থপতি
শেষমেষ সবকিছু নিজেরই থেকে যায়
গলাকাটা অথবা লাশকাটা ঘর সব নিজেরই।
হাতের ভিতর থেকে হাত ফসকালে
রাইফেলের মত ঠুসঠাস কাঁদে কলিজার অঙ্গার
মানুষ শেষমেষ নিজেই নিজের জন্য দায়ী।
এই যে এত আঞ্জাম
রাশি রাশি স্বপ্নের জাহাজ
সবুজের ভিতর উৎসবি কান্না
এতসব নদী পোড়ার ছাই!
সবই তো নিজেরই সৃষ্ট রেলগাড়ি।
ফি বাৎসরিক
___________________________________
নড়বড়ে মানচিত্র খামছে ধরে ছিঁড়ে গোপাল
তোর ভাবীর আঁচল আর ছিঁড়ুম না
শাড়ির এবং মানচিত্রের যন্ত্রণা বেশ শান্তি দেয়
আগুনেরে পোড়াতে আর আগুনে ভিড়ুম না।
চর্যার মলিন দেহ পায় না শিমুলের ভাঁপ
স্মৃতির মিনারে ফুলেরা ডুকরে কাঁদে
চলনে-বলনে, গড়নে-ধরনে ভিনদেশী বর্ষা
ঢেঁকির উঠোনে বিকৃত সুর বাঁধে।
প্রিয়ার শরীর মধুর যতদিন ঝাড়-পোছ থাকে
দাঁত আমার আমাকেই নিতে হবে যতন
শিকড়ের পুকুরে পিছল খেলে ভাঙবে মেরুদণ্ড
বছরে একবার ঘষলেই কি হয় শ্যাওলা পতন?
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৫