প্রিয় রাজন,
বারবার মনে পড়ছে তোমার কথা
কচি মুখখানা তোমার, গাল বেয়ে ঘাম ঝরছে
ডুকরে উঠছে ক্ষণে ক্ষণে, দৃশ্যমান পিশাচের কালো থাবায়
ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে তোমার প্রাণশক্তি।
প্রিয় রাজন,
তোমার বন্ধু আর সহপাঠীরা, যাদের সাথে তুমি খেলতে
তারা তোমায় খুঁজছে
খেলতে যাবে বলে
যাবে না তুমি কুমারগাঁওয়ে?
কেন?
এখন তোমার দূরন্ত শৈশব, এটা তো খেলারই সময়।
শুনছ না যে?
প্রিয় রাজন,
তুমি তো পানি পান করতে চেয়েছিলে
আছমা খালাকে বলেওছিলে পানির কথা
আজ কান্দিগাঁও, বাদেআলীতে অনেক বৃষ্টি
পানিতে টইটুম্বুর মাঠ-ঘাট
আসো, দেখবে পানিতে তুমি ডুবসাতাঁর খেলতে পারবে।
প্রিয় রাজন,
মা বলেছে, আজ অনেক রোদ
সবজি বেচতে যেতে হবে না
তুমি কিনা বলছ, এই রোদে কিছু হবে না!
শুনছ না কেন মায়ের কথা?
ওহ্, ক’দিন বাদেই ঈদ
সৌদিবাড়ির ছেলেরা নতুন জামা কিনে ফেলেছে?
প্রিয় রাজন,
ঈদের বাজার বেশ জমে গেছে
সকাল থেকে রাত অব্দি দোকান খোলা
আসো, ইচ্ছেমতো জামা কিনতে পারবে
লাল, নীল, সবুজ কী চাই তোমার?
প্রিয় রাজন,
আমরা ঈদ করব, খুব ধুমধাম করে
পাঞ্জাবি কিনেছি, শার্ট, পেন্ট, জুতা
আব্বু এসেছে বিদেশ থেকে
আমরা নতুন গাড়ি কিনেছি
ওহ্ সরি... তোমাদের তো ‘গাড়ি’ আছেই
তোমার আব্বুই তো ড্রাইভার।
বাংলাদেশ সময় : ১৪২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৫