জলের মাছ ও জলে ভাসা হাঁস ও পদ্মকে জিগালাম বড় মুখ করে
কারো মুখে কোনো কথা নেই, জল, মাছ ছেড়ে গ্রামের মেঠো পথ ধরে
বনের গাছ আর পাখিদের জিগালাম এক এক করে
কারো মুখে কোনো কথা নেই!
এসেছিলাম বড় আশা করে, ভেবেছিলাম জল মাছ পাখিদের সাথে
বিকেলটা কাটাব মজা করে, জলে আইফোন তাক করে তুলি জলের ছবি
দেখি ভূত, জলভূত; ভরকে গিয়ে পকেটে ভরে জলের উল্টো পথ ধরে
তারপরে হাই হ্যালো করি এক এক করে, পাখি গাছ ফুল ও পাতাদের,
পাখি বলে না কথা,
গাছ বলে না কথা,
ফুল বলে না কথা
কেউ বলে না কথা আমার সাথে!
কী করি নিজের চুল নিজেই ছিঁড়ি
এরপর নীরবতা ভেঙে জিগালাম চিৎকার করে
তোমাদের নাম কী বলো জলদি করে
নইলে পাঠাব পুলিশের ঘরে!
এই কথা শুনে ফুল পাখি গাছ ও পাতারা সমস্বরে কয় রাজন, রাজন...
আমি বলি, রাজন? রাজন কে? সকলেই ভেচকি মারে;
আমি বলি, রাজন? রাজন কে?
এমন সময় আমার গালে প্রচণ্ড এক থাপ্পড় পড়ে;
মাথা তুলে শুনি, ‘রাজন তোর ভাই’, আমি কই, মা, তুমি?
‘খুনিরা তোর সোনার টুকরো ভাই রাজনরে খুন করে;
ফেসবুক টুইটারে ভূত হয়ে থাকিস:
পোড়ামুখো তুই তার নামটাও ভুলে গেছিস!’
নিজের ভুল বুঝতে পেরে মায়েরে কই, ’ রাজনের কোন কথাটি মনে পড়ে
আমারে ঘিরে? ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিতে ইচ্ছে করে!’
মায়ে কয় বিলাপ করে, এতটা বেকুব তুই কতকিছু পাশ মেরে;
মরতে মরতে বলে গেছে রাজন সবকিছু বলে দেবে সৃষ্টিকর্তারে!
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৫
শিল্প-সাহিত্য
রাজন সবকিছু বলে দেবে সৃষ্টিকর্তারে | আনিসুর রহমান
কবিতা / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।