জুলিয়া ওর্য়াড | ফেসবুক যুগের কবিতা
___________________________________
আমি যখন বিউটি পারলারে
তুমি ফোন করেছিলে আমাকে
আমার ফোন ছিল সাইলেন্ট
সেখানে কেটেছে আমার সারাটা সকাল
চুল থেকে পা এমনকি নখের পরিচর্যায়
তারপর একটি জুসবারে গিয়ে তোমাকে ফোন দিলাম।
তোমার ফোন থেকে মেসেজ আসলো
তুমি পারলারে
অন্য মেয়েদের সাথে হাসি-ঠাট্টা করছিলে।
যে মেয়েরা আমার সাথে এরকম করেনি কোনদিন।
আমি ভাবছি তোমাকে ফেসবুকে ব্লক করে দেব।
জেমস ফ্রেডহোলম | আমার আঙ্গুলগুলি
___________________________________
হাতের আঙ্গুলের গন্ধ নেই যখন
আমি জানি এইগুলি আমার
কী যে হৃষ্টপুষ্ট আর অপরূপ!
জীবনভর আমারই ছিল।
উষ্ণ পকেটে
যখন হাত দুটি রাখি
গ্লাভসের মতো লেগে যায় ঠিকঠাক।
আমি ভাবি
কিভাবে ভাঁজ করে একদিন রেখে দেব
তোমার কাছে...
ব্রায়ান স্ট্রান্ড | চলে গেছে
___________________________________
ওয়ার্ড্রোব ভর্তি জামাকাপড় পড়ে আছে
দেয়ালজুড়ে যেন সব মিহিন সেলাই।
তার ছায়া
মেঘের মতন জমে আছে আমার মনে।
ররী হানান | প্রতি শীতে
___________________________________
প্রতি শীতে তুষারপাত হয়
থেমে যায় গাড়ি, ট্রাক চলাচল।
বাইরে, খোলামাঠে আমরা
একজন আরেকজনের প্রতি স্নো-বল ছোঁড়াছুঁড়ি খেলি।
আমাদের বাচ্ছারা ঘরের ভেতর
বিথোভেন তোলে জাইলোফোনে
কখনও তাদের ওস্তাদ মেগাফোনে গায় সেরেনাদ।
বাইরের চেয়েও বেশি হিম বয়ে যায়
ঘরের ভেতর।
লিন্ডি হুমান | খুব বেশী নয়
___________________________________
আমি বুঝে গেছি, আমি একা
কোথাও কেউ নেই, শুধু হাহাকার
চলছি কেবলই অলীক নির্দেশে।
এসব ভাবতেই, দুই গাল বেয়ে
চোখের জল গড়িয়ে যায় নিঃশব্দে।
ম্রিয়মাণ জীবন, নিদারুণ কষ্টে হয়েছে নন্দিত।
দিন একদিন আসবেই আত্মজাকে বিদায় জানাবার
বড়ো ভয় মুখোমুখি হতে একাকিত্বের।
প্রস্তুতি আমার হয়নি শেষ
সংসারের বেদনায় ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়
পরিপূর্ণ সুখ আমার তুমুল কষ্টে।
আমি তো পারি না জীবনকে ছেড়ে যেতে,
বোঝাপড়া করে নিতে জীবনের সাথে।
যুগলের সাথে দ্বন্দ্ব,
হাত দুটি পারি না দিতে অন্য কাউকে।
এ নিপুণ কান্না শুধুই আমার
একাকিত্বের পথ বড়োবেশি ধূসর। ক্লান্ত আমি।
হয়ত একদিন ফিরে পাব আনন্দালোক
ততদিনে বড়োবেশি দেরি হয়ে যাবে।
মনে রেখ, দুর্বিনীত নয় এ চাওয়া আমার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৫