আত্মদহন
একটা অস্থির চিন্তা মগজের ভেতর স্থির হয়ে ঘুরতে থাকে,
এই ঢেউ তোলে, এই ডুব দেয়,
কখনো জলতরঙ্গের শব্দে বাজতে থাকে
কিছুতেই ভুলে থাকা যায় না
একটা অস্থির চিন্তা...
বিষাক্ত একটা পোকা যেন সমস্ত শরীর
ছিঁড়ে-খুঁড়ে-ফেড়ে সাঁতার কেটে বেড়াতে থাকে
বিন্দু বিন্দু করে ঘনিয়ে আসে মৃত্যুর মতো অনিশ্চয়তা
কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় না।
মগজ না আকাশ ঠাহর করা যায় না
বিদ্যুৎ চমকে বিকট শব্দে বাজ পড়ে
আলোকিত যন্ত্রণায় থেমে যায় সবকিছু
অথবা নিয়মিত গতিতে দুলতে থাকে
তারপর ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতন প্রশান্তি,
করোটি জুড়ে থকথকে নোংরা কাদা।
ঘুম ঘুম ঘোরে বৃষ্টির পর্যাবৃত্ত শব্দ
আবেশ তৈরি করে ভাসিয়ে নিতে চায়
দুঃস্বপ্নময় দুশ্চিন্তাগুলো।
একটা চিন্তা তবু শ্যাওলার মতো আঁকড়ে থাকে মগজের গ্রন্থি,
প্রতিটা নিউরোনে নিউরোনে ছড়িয়ে দেয় তরল আগুন
সোনালি-রুপালি শিখায় জ্বলতে থাকে
এমনকি নিভে গেলেও রেশ থেকে যায়
ভায়োলিনের সকরুণ সুরের মতো
স্মৃতির কবর খুঁড়ে দিকভ্রান্ত বর্তমান নিয়ে
আত্মদহন ঘটায়।
ডিসেম্বরে
ডিসেম্বরে—শীতের এই দীর্ঘ বিষণ্ণ রাত্তিরে
উষ্ণতার অন্য নাম তোমার বুকের ওম
উত্তাল সমুদ্র নয়, শান্ত দিঘির মতোই নিস্তব্ধ;
একটা হৃদস্পন্দনও শোনা যায় না
অথবা এত বেশি ক্ষীণ যে আমার কাছে পৌঁছয় না।
মাছের চোখের মতো নির্বাক দিঘির রুপালি জলে
তবু ভাসতে দেখি পরিচিত এক অলীক প্রতিবিম্ব,
নিঃশব্দ ভূগোলে ডুবে যাওয়া পুরনো সভ্যতার মতো
খুঁড়ে বের করে অনুমান করতে হবে গল্পগুলো।
নিয়ম পান করতে করতে আমি মাতাল,
তোমার কাছে যাবার সংক্ষিপ্ত রাস্তা খুঁজছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৫