পিতাকে খুন করে পুত্র আসলে কিসের প্রতিশোধ নিতে চায়? পিতৃহত্যার পর, উন্মাদ পুত্রের জয় কোথায়? ক্ষমতা অর্জনের? তাহলে ক্ষমতাই সেই মধু, যা পুত্রকে বিভ্রান্ত, বর্বর করে তোলে? অবশ্য এই খুন, এই হত্যা যতটা রাজনৈতিক, ক্ষমতালোভের, ততটা পারিবারিক নয়।
হুম!
না, এতটা খটমটো বাক্য আমার ভালো লাগে না।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এর সকালটা ছিল বাঙালি জাতির কিছু উন্মাদ-ক্ষমতালোভী ফৌজ-অফিসার-সন্তানের পিতৃঘাতি সকাল। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হলেন। এতে করে কী হলো?
অভিভাবকহীনতায় পড়ে গেল বাংলাদেশ। অভিভাবকহীন শিশুরা কিভাবে বড় হয়ে ওঠে? কোন নৈতিকতা সে পায় তার চরিত্রে?
আসলে কান্নার উদ্দেশ্য ছিল হয়তবা, বাইরে খেলতে যাব, কিন্তু বাড়ির কারো অনুমতি পাচ্ছি না। আবার বাড়ির বড়রাও কেউ আমার দিকে নজর দিচ্ছে না, সেটি পষ্ট। মা বলল, কান্নাকাটি বন্ধ কর।
আমার কান্না থামে না। মা এবার ভয় দেখাল, বাইরে মিলিটারি। বেরুলেই গুলি করে দেবে। চুপ করে থাক।
২.
অনেক বছর পর, বাড়ির বড়দের সেই রেডিও শোনা এবং আমার দিকে নজর না দেওয়া ছোটবেলার সেই কান্নাময় সকালকে আমি আবিষ্কার করি। সেই সকালটা ছিল ১৫ আগস্টের সকাল। মা বলছিল, “বাইরে মিলিটারি, বেরুলেই গুলি করে দেবে। ”
৩.
১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এর সকালটা ছিল বাঙালি জাতির কিছু উন্মাদ-ক্ষমতালোভী ফৌজ-অফিসার-সন্তানের পিতৃঘাতি সকাল। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হলেন। এতে করে কী হলো?
৪.
অভিভাবকহীনতায় পড়ে গেল বাংলাদেশ। অভিভাবকহীন শিশুরা কিভাবে বড় হয়ে ওঠে? কোন নৈতিকতা সে পায় তার চরিত্রে?
৫.
তাকাও, দ্যাখো, ভাবো, নিজেকে প্রশ্ন করো। তারপর করণীয় ঠিক করো। আর ধরো হুমায়ুন আজাদের একটি বই, পড়ো আর না-ই পড়ো, বইটার নামটাই শুধু উচ্চারণ করো মনে মনে, “আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?”
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৫