জিপার
দরজা খুলে দাঁড়িয়ে আছো, অন্য কিছু খুলবে না?
সেই যে কবে আঘাত দিলাম, এখনো কি ভুলবে না?
লুকিয়ে রাখা রহস্যটা খুলে দেখাও কী কারখানা
জানলা থেকে ব্লাইন্ড সরালে, অন্যখানে জিপার টানা
স্টেশন
রোজ সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে স্টেশনটা খুঁজে পাই না
কখনো দেখি লেক্সিংটনে আবার কখনো থার্ড অ্যাভেনিউতে
নাকি স্টেশনটা রোজ লেক্সিংটনেই থাকে, লেক্সিংটন চলে আসে থার্ড অ্যাভেনিউতে?
ফোর্টি-ফোর্থ স্ট্রিটের ফুটপাত হাঁটতে শুরু করে ঠিক সাড়ে পাঁচটায়
দু’পায়ে জড়িয়ে যায় গ্রীষ্মের বৈরাগী মেঘ
আমি দাঁড়িয়ে থাকি স্টেশনের অপেক্ষায়
দেখি দুজন রাষ্ট্রদূত নাইজেরিয়ান হাউসের পাশে দাঁড়িয়ে
পরস্পরের গালে কূটনৈতিক ঘৃণা ছিটিয়ে দিয়ে
মুঠোফোন-ক্যামেরার সেলফিতে দেখায় শুভ্র দাঁতের ঝিলিক
ক’জন কুকুর টেনে নিয়ে যায় শেকলে বাঁধা ফর্সা নারীদের
মেয়েগুলো পোস্টবক্স দেখলেই পা তুলে দিচ্ছে
স্টেশনটা ভাসতে ভাসতে চলে এসেছে
সাবওয়ের সুরঙ্গে উঁকি দিয়ে দেখি একজোড়া লাফিং গাল
পরস্পরের ডানায় ঠোঁট গুঁজে হরতাল ডেকে বসে আছে
সিড়িগুলো আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় আকাশে, একটি সবুজ বনভূমিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৫
শিল্প-সাহিত্য
জোড়া কবিতা | কাজী জহিরুল ইসলাম
কবিতা / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।