বহুদিন ধরে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট লোকজনের মধ্যে একটাই হাহাকার; হলে দর্শক নাই, মানুষ ছবি দেখছে না নিয়মিত। হলে দর্শক না থাকার পেছনে চলচ্চিত্রের অশ্লীল যুগের প্রভাব, নিম্নমানের প্রযুক্তি, অদক্ষ কলাকুশলী, শিল্প হিসেবে চলচ্চিত্র বিকশিত হওয়ার ব্যর্থতা, পরিবেশনার অব্যবস্থাপনা এবং সর্বোপরি সৃষ্টিশীল নির্মাতার অভাবকে দায়ী করা হচ্ছে বারবার।
কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে কিছু তরুণ নির্মাতার আন্তরিক প্রচেষ্টা, সৃষ্টিশীল চলচ্চিত্র-ভাবনা ও স্বল্প-ব্যয় সহায়ক ‘ডিজিটাল ফিল্ম ফর্ম্যাট’ আমাদের আশায় বুক বাঁধতে শেখাচ্ছে নতুন করে। এই নতুন যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে আবু শাহেদ ইমনকেও গণ্য করা হয় তাঁর ‘কনটেইনার’ নামক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির জন্য। সিনেমাটি আমি দেখিনি; কিন্তু আমার কয়েকজন বন্ধু দেখেছে যাদের সিনেমা দেখার ভঙ্গির প্রতি আমার আস্থা আছে। তারা আমাকে জানিয়েছে, ছবিটি প্রশংসাযোগ্য। তাদের কথার সূত্র ধরে আমি চেষ্টা করেছিলাম ছবিটি সংগ্রহ করতে। কিন্তু যোগাযোগের সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যর্থ হয়েছি দেখতে।
তাই যখন শুনলাম আবু শাহেদ ইমনের পরিচালনায় ‘জালালের গল্প’ শিরোনামের ফিচার ফিল্মটি বাংলাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তখন খুশি হয়ে উঠলাম একটি নতুন সিনেমা দেখার প্রত্যাশায়। তার ওপর ফেসবুকের সুবাদে ছবিটির প্লট ও নির্মাণের ওপর কয়েকটা প্রশংসাসূচক সমালোচনা পড়ে আমার আগ্রহ আরো চাঙ্গা হয়ে উঠল। অবশেষে গত মঙ্গলবার বলাকা সিনেমা হলে ছবিটি দেখার সুযোগ ঘটে আমার এবং সিনেমাটি আমার প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়।
‘এশিয়ান সিনেমা ফান্ড’ পাওয়া; ‘মন্ট্রিয়াল ফিল্ম ফেস্ট’সহ অসংখ্য ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শনের সুযোগ ও পুরস্কার পাওয়া ছবিটি নিশ্চয়ই আমার মতো সাধারণ দর্শকের প্রত্যাশার ওপর নির্ভর করে নেই। তাছাড়া বোদ্ধারা যেহেতু ছবিটিকে উচ্চমার্গের চলচ্চিত্র হিসেবে রায় দিচ্ছেন সেহেতু আমার মতো অভাজনের বোকা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের দায় নিয়ে মাথা ঘামাবার কোনো কারণ নেই পরিচালকের। কিন্তু বাংলা সিনেমার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে ‘জালালের গল্প’ চলচ্চিত্র নিয়ে আমার নিজস্ব ভাবনাগুলো জানানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়েছে।
‘জালালের গল্প’ চলচ্চিত্রটির গল্পকাঠামো গড়ে উঠেছে জালাল চরিত্রটির তিনটি আলাদা সময়ের অবস্থানকে ঘিরে। প্রথম অংশে জালালকে আমরা ডেকচির মধ্যে ভেসে আসা সদ্যপ্রসূত শিশু হিসেবে দেখতে পাই; যাকে তার পালক পিতা নিজের বড় ছেলের নামের সঙ্গে মিলিয়ে জালাল নামকরণ করে এবং শিশুটির সৌভাগ্যকে কেন্দ্র করে পানিপড়া দেওয়ার ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু ব্যবসার ভাগাভাগি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে না পেরে জালালকে আবার ভাসিয়ে দিতে বাধ্য হয় সে।
সিনেমার এই অংশটি তিনটি পর্বের তুলনামূলক বিচারে বেশ সুগঠিত। যদিও গল্প বলার ক্ষেত্রে উত্তেজনাহীন ‘অফস্ক্রিন ডায়ালগ থ্রো’ ট্রিটমেন্টটি ক্লান্তি উৎপাদন করে মাঝে মাঝে। এই পদ্ধতিটিকে হয়ত এদেশীয় চলচ্চিত্র-ধারার নতুনতর নিরীক্ষা পক্রিয়া হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যেত কিন্তু সঠিক প্রয়োগের অভাবে তা সফল হয়ে উঠতে পারেনি। অবস্থাদৃষ্টে বরং মনে হয়েছে শ্যুটিংয়ের পরে সাউন্ড ডিজাইন করার সময় গল্পকে মেলাবার প্রয়োজনে পরিচালক নিরুপায় হয়ে পদ্ধতিটির আশ্রয় নিয়েছেন।
সিনেমার এই অংশে অভিনেতাদের অভিনয় সাবলীল ছিল; পরিচালক ও চিত্রগ্রাহকেরও মনোযোগ ছিল ছবিটির প্রতি। তবে উচ্চকিত ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেছে মাঝেমাঝে; তবু এই সিনেমার এই পর্বটুকু পরিচালকের খ্যাতির সাথে সঙ্গতি রেখেই এগিয়ে গেছে।
সিনেমার দ্বিতীয় অংশে শিশু জালালকে দেখা যায় একজন নপুংসক পালক-পিতার আশ্রয়ে; যিনি তাঁর ৩য় স্ত্রীকে বিয়ে করে এনেছেন সন্তান উৎপাদনের আশায়। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময় হয়ে গেলেও স্ত্রীর মধ্যে সন্তান ধারণের কোনো পূর্ব লক্ষণ ধরা না পড়ায় তিনি একজন তান্ত্রিককে ডেকে আনেন, যে একটা বিশাল সময় জুড়ে ‘অংবংচং’ মন্ত্র পাঠ করে দর্শককে ধৈর্যহারা করে তোলে। শেষে নিজের বীর্য দিয়ে অন্যের জন্য সন্তান উৎপাদনের চেষ্টায় রত বৈদ্যটির কূটচালের শিকার হয়ে জালালকে আবারও ভাসতে হয় নদীতে।
সিনেমার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এই পর্বটি পূর্ব-পরিকল্পনার অভাবে এগোতে পারেনি তার স্বাভাবিক গতিতে। তান্ত্রিকের চরিত্রটির অতিব্যবহার এবং তৌকির আহমেদের প্রথাগত অভিনয় বাধ সেধেছে এতে। তবে শর্মীমালা ও শিশু জালালের অভিনয় বেশ প্রশংসাযোগ্য ছিল।
গল্পের শক্তিশালী বিন্যাস এবং হাঁস, কুকুরসহ ও বিভিন্ন জীবজন্তুর ইঙ্গিতপূর্ণ ব্যবহার পর্বটিতে ভিন্নধরনের প্রাচুর্য তৈরি করেছিল। তান্ত্রিকের কার্যকলাপকে আরেকটু সংক্ষিপ্ত করে এবং শিশু জালালের সাথে জীবজন্তুর সম্পর্ককে আরেকটু ঘনীভূত করে তুলে এই অংশটিকে আরো মেটাফোরিক করে তোলা হয়ত সম্ভব ছিল। কিন্তু পরিচালকের তাড়াহুড়া এবং ধোঁয়া নিয়ে চিত্রগ্রাহকের অযাচিত ক্যারিশমা এই সম্ভাবনাকে আতুরঘরে নষ্ট করেছে বলে মনে হয়েছে।
কোনো এক অদ্ভুত কারণে চমৎকার একটি বাড়িকে লোকেশন হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও বাড়ির অন্দরমহল দর্শকের কাছ থেকে আড়াল করে রাখা হয়েছে। এই না দেখা ভেতর-বাড়িটি দর্শকের কাছে নতুন ধরনের দৃশ্যগত বৈচিত্র্য নিয়ে হাজির হতে পারত হয়ত। তান্ত্রিক চরিত্রটিকে অন্দরমহলের আলো-আঁধারি ঘেরা কানাগলিতে প্রতিস্থাপন করে অনায়াসে রহস্যময় করে তোলা সম্ভব ছিল। তাতে চরিত্রটি অতিনাটকীয়তার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে শক্ত ভিঁতের ওপর দাঁড়াতে পারত।
গল্পের ৩য় অংশে তরুণ জালালকে আমরা একজন স্থানীয় নেতার আশ্রয়ে আশ্রিত হয়ে থাকতে দেখি। নেতার প্রিয়পাত্র হওয়ার অভিলাষে সে যাত্রাদলের নর্তকী মৌসুমী হামিদকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে আসে নেতার কাছে। নেতার ভোগের শিকার হয়ে মৌসুমী একপর্যায়ে সন্তান ধারণ করলে আসন্ন নির্বাচনে জয়প্রত্যাশী নেতা তাকে লোকচক্ষুর আড়াল করে ফেলে। নেতার কাছে স্ত্রীর মর্যাদা না পেয়ে ব্যথিত ও অসহায় মৌসুমী জালালের আন্তরিক চেষ্টা সত্ত্বেও সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে। কিন্তু সদ্যপ্রসূত শিশুটি বেঁচে যায়। শিশুটিকে একটি ডেকচির মধ্যে নিয়ে জলে ভাসিয়ে দেয় নেতার সুযোগ্য সাগরেদেরা। জীবনের এই অপচয় মানতে না পেরে সাঁতারে অদক্ষ জালাল শিশুটিকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই জলে হারিয়ে যায়। জালালের এই করুণ পরিণতির মধ্য দিয়ে জীবনের দার্শনিক বৃত্ত পূর্ণ করার মাধ্যমে পরিচালক চলচ্চিত্রের সমাপ্তি ঘটান।
এই সিনেমার সবচেয়ে দুর্বল অংশ ছিল শেষপর্বটি যা মোশাররফ করিমের গৎবাঁধা অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। মৌসুমী আর জালালরূপী অভিনেতাটির অভিনয় পারদর্শিতাও বাঁচাতে পারেনি এই পর্বটিকে।
অন স্ক্রিন ইম্প্রোভাইজড ডায়ালগ থ্রো করার একধরনের রীতি বাংলাদেশের টিভি নাটকে বহুদিন ধরে চর্চিত হয়ে আসছে। ইদানীং তা নাটকের গণ্ডি পেরিয়ে সিনেমাতেও হানা দিয়েছে। এই ভঙ্গিটি হয়ত নতুন ব্যঞ্জনা দিতে পারত যদি তার ছাঁচটি পরিকল্পিত হতো। কিন্তু এই ছবিতে মোশাররফ করিমের প্রায় প্রত্যেকটি ডায়ালগই তাৎক্ষণিকভাবে স্মরণ করে আওড়ানো মনে হয়েছে। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল তিনি তাঁর চরিত্র ও অভিনয় নিয়ে বিন্দুমাত্র আন্তরিক নন। অভিনয়ের এই ত্রুটিটুকু সম্পর্কে পরিচালকও হয়ত সজাগ ছিলেন না কিংবা অগ্রাহ্য করেছেন অথবা অভিনেতার তারকাখ্যাতির কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন।
চলচ্চিত্রটির শেষ পর্বটিতে ইটভাটার মতো দৃষ্টিনন্দন একটি লোকেশনকে গল্পের আঙ্গিকের সাথে মিলিয়ে সুচারুভাবে ব্যবহার করতে পারেননি সিনেমাটোগ্রাফার। লোকেশনটিকে আরো বহুমাত্রিকভাবে ব্যবহার করা হয়ত সম্ভব ছিল।
‘জালালের গল্প’-তে জালাল ডাকনামটিই খালি পর্বগুলোর একমাত্র যোগসূত্র। প্রতিটি জালালই হয়ত একই জালাল নয়, অন্য কোনো জালাল। এই রূপককে প্রকট করে না দেখানোর মধ্য দিয়ে পরিচালক যে সংযমের পরিচয় দিয়েছেন সেজন্য তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ। শুধু, গল্প থেকে গল্পান্তরে যাওয়ার জন্য কোনো সিনেমাটিক সাটল ট্রিক যদি তিনি আগে থেকেই পরিকল্পনা করে নিয়ে ব্যবহার করতেন তবে দারুণ একটা কিছু ঘটতে পারত।
পুরো সিনেমার কোথাও সম্পাদনার কোনো সৃজনশীল নমুনার দেখা পাওয়া যায় নি। এক্ষেত্রে এডিটরকে না জেনে দোষারোপ করাটা অন্যায় হবে; কারণ এডিট করতে গিয়ে কতটুকু প্রয়োজনীয় ফুটেজ তিনি পেয়েছেন তা প্রশ্নসাপেক্ষ। বরং এডিটর ও সাউন্ড ডিজাইনারকে এই মর্মে ধন্যবাদ যে; চলচ্চিত্রের গতি ধরে রাখতে অনেকগুলো প্রয়োজনীয় জোড়াতালির সন্নিবেশ ঘটিয়েছেন তাঁরা। অফস্ক্রিন ভয়েস ডেলিভারি ও সাউন্ড স্কোরের কথা আগেই বলেছি যা পুরো ছবির জন্য প্রযোজ্য।
‘জালালের গল্প’ চলচ্চিত্রে যে তিনটি গল্প পরিচালক সিনেমার উপাদান হিসেবে গ্রহণ করেছেন সেগুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তব সত্য। সেদিক থেকে সিনেমাটি বাস্তবতার একটি দলিল হতে পারত; যদিও দলিল তৈরি করা চলচ্চিত্রকারের কাজ না। তাঁকে শিল্প সৃষ্টির মতো ততোধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়। সিনেমার প্রথম অংশটিতে বাস্তবতার মার্জিত ব্যবহার ও দ্বিতীয় অংশে উপদানের মেটাফোরিক প্রয়োগ চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আবু শাহেদ ইমনের প্রতিভার সাক্ষ্য দেয়। তবে, শেষ অংশটি একজন দর্শক হিসাবে আমার মধ্যে বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
যতদূর জানা যায় সিনেমাটার ওয়ার্কিং টাইটেল ছিল ‘জালালের পিতাগণ’। এই শিরোনামটি বর্তমান শিরোনামের চাইতে অনেক শ্রুতিনন্দন, যুক্তিগ্রাহ্য ও মেটাফোরিক ছিল। কারণ, আমরা সিনেমায় জালালের পিতার ভূমিকায় একাধিক চরিত্রকে দেখতে পাই। জালালের আরেকজন পিতা দর্শকের দৃষ্টির অগোচরে থেকে ছড়ি ঘোরান জালালের ভাগ্যের ওপর। তিনি পরিচালক। পরিচালকের বজ্র আঁটুনিতে জালাল স্বাধীন চরিত্র হিসেবে বেড়ে উঠতে পারেনি কোথাও। যার ফলে শেষে তাকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে সিনেমাটিক প্রাণটুকু সঁপে দিতে হয় পরিচালকের ইচ্ছায়। জালালের জীবনচক্র সম্পূর্ণ করার প্রথাগত সৃষ্টিশীলতায় নিমজ্জিত না হলে এই পর্বটাও হয়ত বেঁচে যেতে পারত। জলে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে সদ্যপ্রসূত জালাল ও শিশু জালাল বাঁচলেও তরুণ জালাল যেন এই ছবিটির প্রকৃত প্রতীক হয়েই ডুবে গেছে নদীর জলে।
একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে গল্প বলা কঠিনতম কাজ। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শকের আগ্রহ ধরে রাখা, দর্শকের স্মৃতিতে একটা পরিপূর্ণ সিনেমার পরিচয় নিয়ে লেপ্টে থাকা দুরূহ ব্যাপার। প্রতিক্রিয়া জানানো তার চাইতে অনেক সহজ। সিনেমা তৈরি করতে যে মেধা, প্রজ্ঞা ও সাংগঠনিক জ্ঞান লাগে সমালোচনায় তার এক সহস্রাংশ বোধকরি লাগে না। অনেক বিপত্তির মধ্য দিয়ে পরিচালককে এই কঠিন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে হয়। দর্শক তার কিঞ্চিৎ পরিমাণ খবরও রাখেন না। ‘জালালের গল্প’ নির্মাণ করতে গিয়ে আবু শাহেদ ইমনকেও নিশ্চয়ই এই বাধার পাহাড় ঠেলে এগোতে হয়েছে। হয়ত, নিজের ইচ্ছার সাথে আপোস করতে হয়েছে বহু জায়গায়। কিন্তু দর্শক হিসাবে আমি তা মানব কেন! একটা পরিপূর্ণ চলচ্চিত্র প্রত্যাশা করার দায় মেটাবার ভার সম্পূর্ণ পরিচালকের। সেখানে দর্শক হিসাবে আমি কোনো আপোস করতে চাই না।
এই ছবির ব্যর্থতা (?) থেকে পরিচালক আবু শাহেদ ইমনও নিশ্চয়ই পরবর্তী ছবির জন্য অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করেছেন। উপাদানগুলোর সঠিক প্রয়োগে তাঁর সুনামের প্রতি প্রতিনিধিত্বশীল একটি ছবি তাঁর কাছ থেকে আমরা ভবিষ্যতে আশা করতে পারি যদি তিনি তাঁর প্রাপ্তির ঝুলিটুকুকে আরো মূল্যবান রত্ন দিয়ে ভরাতে চান। এই সমালোচনা যদি তাকে আহত করে আমি আন্তরিকভাবে খুশি হব। আহত শিল্পী সবসময় নতুন দৃষ্টি পায় দেখবার, নতুন ভাষা পায় বলবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫