দৃশ্য-উপদেশ
শরীরের দেশে কোনো সোজা রাস্তা নেই।
তাই তোমাকেই
লিখে দিলাম বিক্ষিপ্ত যাতায়াতের নিয়মকানুন।
হেঁটে হেঁটে তুমি চলে যাও সুষমার আলোকাভিজানে।
তুমি ব্রতচারিণী, করে চলো আরো কোনো
প্রাজ্ঞ ধ্যানের নির্মাণ।
তোমার ঠোঁট থেকে, চিবুক থেকে
পতনমুখী দৃশ্যের বিহ্বলতা লেগে যাচ্ছে নাভিমূলে।
বুকের ভাঁজে আলোক-বরফ—সেও গড়িয়ে পড়ছে অস্থিসন্ধিতে।
সুতরাং এখনই সময়
দেখে নাও কত বিক্ষিপ্ত পথ ফুঁড়ে
বেরিয়ে আসছে আরো কত পথ!
কোথাও যতিক্লান্তির রেশটুকু নাই।
শেষটায় আছি আমি
অনূদিত গাঙ্গের অববাহিকায়
চুপচাপ দাঁড়িয়ে—
দু একটা পানকৌড়ির সাথে
খসে পড়া দৃশ্য দুহাতে ধরব বলে
অস্তিত্ব-সংশয়
প্রতি মুহূর্তে ভাবি—আমি আছি। এবং এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে—একটি চলমান বিন্দুতে আপাত স্থির—এই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও আমি আছি। ঠিক পেছনেই আমার ছায়া। বুড়িয়ে গেছে। খানিকটা খুঁড়িয়েও হাঁটে আজকাল। সে আমার সাথে একমত নয়। আর এ জন্যেই এত অস্তিত্ব-সংশয়। ক্রাচে ভর দিয়ে, মাটি ঠুকে ঠুকে, খুব গম্ভীর—সে আমাকে বলে—তুমি নেই, পৃথিবীর কোথাও তুমি নেই।
তোমার শূন্যতা বিশ্বময়।
তুমি তো ছিলে না কখনোই—
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৫