জলাধারে তুমুল রোহিত
ভয়ঙ্কর দিন শেষে
দশ আঙ্গুলে সুখ মাখার আশায়
যখনই রাতের কাছে নিজেকে
সমর্পিত করলাম, তুমি বললে হবে না...
সেই থেকে অপেক্ষা—
অবশেষে বাম দিকটার অধিকার
অর্জিত হলো, ডান দিকটা রেখে দিলে যথারীতি
পুরাতনের জন্য
উত্তর আর দক্ষিণ মেরু হয়ে গেল এক
তবুও তোমার-আমার মাঝে
দীর্ঘ এক ফাঁক—
রয়ে গেল;
মনে হলো আমি সেই পুরোহিত
জলাধারে নির্জীব বেঁচে থাকা তুমুল রোহিত।
চিতার অনল
সুদূর অতীত হতে
বর্তমানে ফিরে আসা
ভাঙা দু’টি হৃদয়ে
পাগলের মতো ভালোবাসা
এই অসুর সময়ে এসে
হবে কি সুরের মিলন
ভালোবাসা পোড়ায় দেখো
শ্মশানের চিতার অনল।
তীরে এসে বাড়ি খেয়ে
ফিরে যায় সাগরের জল
পাহাড়ে পাহাড়ে ওই
নিঃশব্দ পাথার-কোলাহল
ভেঙে যায় প্রতিদিন
তবুও তো অমলিন
রয়ে যায় প্রেম, পাহাড় অটল
বুকে জ্বলে পলে পলে
শ্মশানের চিতার অনল।
তোমাকে দেখার লোভে
আকাশে প্রথম উড়াল
মেঘেদের দেশে খুঁজি
চোখের বিসর্জিত জল
খুঁজে খুঁজে কেটে যাক
যতদিন প্রাণটা সচল
তোমার ছোঁয়ায় নিভুক
শ্মশানের চিতার অনল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫