অরণ্যে রোদন
বৃথাই নীরবে করি অরণ্যে রোদন
পোশাকী রমণী মাতে আবেশে মধু উৎসবে
চিত্রা হরিণীর নিষ্পাপ চোখের ভাষা
অপাঠ্যই থেকে যায় চিরদিন।
মৃদুলা রোমান্সে ভাসে কবিতার শরীর
সমন্বয়ের আকালে পোড়া স্বপ্ন ঋতুতে বসে
আনমনে বিলাপ করে হীরামন পাখি
সম্পর্কের মেরুকরণে দিনরাত ব্যস্ত মানুষ।
বিষাদের আন্তখেয়ায় ভেসে যায় মন
কিশোরী চাঁদ কলসী উপুর করে ঢালে
জোছনা প্রেম। কবিতার আপেল বনে
সলজ্জে উঁকি দেয় বাল্মিকী বোদলেয়ার
হোমার কিংবা ওমর খৈয়াম।
ভাষাহীন প্রহর
তোমার বর্ণালী দিন আমার আঙিনায় আনে
বিলিকাটা স্বপ্নের রোদ্দুর। বিলাসী মেঘ হেসে
সরে যায় দূরে। মধ্যরাতের জোছনা ভেবে
বুকে ধারণ করি নীরবতার বিষ।
ভাষাহীন প্রহরগুলো বুনে দেয় রাঙা অনুভূতির
বীজ। লাবণ্যময় ব্যথার ঘুঙুর ধ্বনি
বেজে চলে রিন ঝিন—
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৫