ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণদিবসে শ্রদ্ধা

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণদিবসে শ্রদ্ধা

তার পরিচিতি সাহিত্য সম্রাট হিসেবে। জন্ম পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার দেবানন্দপুরে।

প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখায় বারবারই ছেদ পড়েছে তার। কখনো এ পাঠশালা তো কখনো সেই স্কুল। বহুকষ্টে টি.এন. জুবিলি কলেজিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেন। পরে এফ.এ. শ্রেণিতে ভর্তি হন। কিন্তু সেবারও দরিদ্রতার কাছে হার মানতে হয় তাকে। সমাপ্তি ঘটে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবনের।

বলছি অপরোজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কথা। আজ ১৬ জানুয়ারি (শনিবার) সাহিত্য সম্রাটের প্রয়াণদিবস।

পড়াশোনায় ইস্তফা দিয়ে শরৎচন্দ্র বনেলি স্টেটে সেটেলমেন্ট অফিসারের সহকারী হিসেবে কর্মজীবন আরম্ভ করেন। তারপর কলকাতা হাইকোর্টের অনুবাদক এবং বার্মা রেলওয়ের হিসাব দপ্তরের কেরানি পদে চাকরি করেন। এসময় তার প্রতিভা বিকশিত হতে থাকে, তিনি গান ও নাটকে অভিনয় করেন।

শরৎচন্দ্রের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘বড়দিদি’। ভারতী পত্রিকায় উপন্যাসটি প্রকাশ হওয়ার পরপরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর একে একে প্রকাশ পায় ‘বিন্দুর ছেলে ও অন্যান্য’, ‘পরিণীতা’ ইত্যাদি।

শরৎচন্দ্রের লেখায় ফুটে উঠত গ্রামীণ সমাজ, সংস্কার, শ্রেণী, পরিবার ও জীবন।

তার জনপ্রিয় গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে—‘বৈকুণ্ঠের উইল’, ‘পল্লীসমাজ’, ‘দেবদাস’, ‘চরিত্রহীন’, ‘নিষ্কৃতি’, ‘শ্রীকান্ত’, ‘দত্তা’, ‘গৃহদাহ’, ‘দেনা-পাওনা’, ‘পথের দাবী’, ‘শেষ প্রশ্ন’, ‘নারীর মূল্য’, ‘স্বদেশ ও সাহিত্য’।

সাহিত্যে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য শরৎচন্দ্র কুন্তলীন পুরস্কার, জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান। একইসঙ্গে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সদস্যপদ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট উপাধি লাভ করেন।

প্রয়াণদিবসে বিশিষ্ট এই লেখক-ঔপন্যাসিকের প্রতি বাংলানিউজের শিল্প-সাহিত্য বিভাগের পক্ষ থেকে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
এসএমএন/টিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।