ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

কিলোমাঞ্জারোর তুষার | আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (পর্ব-২)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৬
কিলোমাঞ্জারোর তুষার | আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (পর্ব-২)

[১৯৫৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারজয়ী আর্নেস্ট হেমিংওয়ে তার বিখ্যাত ‘কিলোমাঞ্জারোর তুষার’ গল্পটি লিখেছিলেন ১৯৩৮ সালে। এটিকে বিশ্বের সর্বেকালের সেরা গল্পের তালিকায় বেশ ওপরের দিকেই ঠাঁই দেন সাহিত্যবোদ্ধারা।

গল্পটিতে ১৯৩০-এর দশকে হেমিংওয়ের লেখক-জীবন ও ব্যক্তিগত জীবন প্রতিফলিত হয়েছে।
এতে তিনি মন্তব্য করেছেন, রাজনীতি, নারী, সুরা, অর্থ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা আমেরিকার লেখকদের নষ্ট করে দিচ্ছে। ধনী লোকজনরে সঙ্গে মাখামাখি তার লেখকসত্তার ক্ষতি করছে। এই বোধ স্পষ্টতই ফুটে উঠেছে গল্পটিতে। ব্যাপকার্থে, গল্পটিকে একজন লেখকের হারানো প্রজন্মের স্মৃতিচারণের উদাহরণ হিসেবে নেওয়াই সঙ্গত। যাদের ছিলো বিশ্বযুদ্ধ ও স্পেনের যুদ্ধ-অভিজ্ঞতা, যেসব যুদ্ধ তাদের মনে নৈতিকতা ও দর্শন নিয়ে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। একের পর এক স্মৃতিচারণে গল্পের নায়ক স্মরণ করতে থাকে বুলগেরিয়া ও কনস্টান্টিনোপলের পর্ববতমালা এবং একই সঙ্গে প্যারিসের একাকিত্বের দুঃসহ অনুভূতি আর ভেতরটা হঠাৎ করেই শূন্য হয়ে ওঠা।
খাটে শুয়ে শুয়ে গল্পের নায়ক সর্তক হয়ে ওঠে, যখন তার অস্থায়ী তাঁবুর চারপাশে শকুন হাঁটতে দেখে। ছায়ার ভেতর একটি হায়নোর আনাগোনা টের পায়। জেগে ওঠার আগেই মরে যাবো এটা জেনেই সে ঘুমাতে যায় এবং স্বপ্ন দেখে- একটি উদ্ধার বিমান তাকে তুষারাবৃত কিলোমাঞ্জারোর চূড়ায় নিয়ে গেছে। গোটা আফ্রিকায় যেটি সবচেয়ে উঁচু পর্বত। তার স্ত্রীরও স্বপ্নদেখা ঘুম ভেঙে যায় হায়েনার বিদঘুটে শব্দে। তাঁবুর বাইরে হায়েনাটা কেঁদে ওঠে অদ্ভূতভাবে। সে কান্নাটা মানুষের মতো। ]

কিলোমাঞ্জারোর তুষার
মূল: আর্নেস্ট হেমিংওয়ে
ভাষান্তর: মনজুর শামস

পর্ব-২
‘বন্ধ করো এসব। হ্যারি, কেন তোমাকে এখন এমন পাষাণ হতেই হবে?’
‘আমি কিছুই ফেলে যেতে চাই না’, হ্যারি বলল। ‘জিনিসপত্র পেছনে ফেলে যেতে আমি পছন্দ করি না।
ওই আধাখেঁচড়া চালাতে শেখা কিকুইয়ায়ু ড্রাইভারের বদলে আমরা যদি একজন ভালো মেকানিককে ভাড়া করতাম তা হলে সে লরির তেল ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করে নিতো, তা হলে এভাবে আর বিয়ারিংয়ের বারোটা বাজতো না। ’
‘আমি তা বোঝাতে চাইনি। ’
‘তুমি যদি তোমার নিজের মানুষদের ছেড়ে না আসতে; তোমার ওই জাহান্নামের ওল্ড ওয়েস্টবুরি সারাগোটার পাম বিচের মানুষদের ছেড়ে যদি আমাকেই আপন করে না নিতে...’
‘আমি তোমাকে কেন ভালবাসতে গেলাম তা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা শোভন নয়। আমি তোমাকে সব সময়ই ভালবেসেছি। তুমি কি আমাকে ভালবাসো না?’
‘না,’ লোকটি বললো। ‘আমি তেমনটি মনে করি না। আমি কখনও তোমাকে ভালবাসিনি। ’
‘হ্যারি, কী বলছ তুমি? নেহাত তোমার মাথাটা বিগড়ে গেছে। ’
‘না। বিগড়ে যাওয়ার মতো কোনো মাথা আমার নেই। ’
‘ওসব আর গিলো না’, নারী বলল। ‘লক্ষ্মীটি, প্লিজ ওইসব মদটদ আর গিলো না তো! আমরা যা করতে পারি তার সবই করে দেখতে হবে। ’
‘তুমিই করো তা,’ সে বললো। ‘আমি ভীষণ ক্লান্ত। ’

এখন সে তার মনের ভেতরে কারাগাচে একটি রেলস্টেশন দেখতে পেলো। সে তার বোঁচকা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো আর সিম্পলন-অফেন্টের (সিম্পলন টানেল দিয়ে চলাচলকারী ট্রেন... হেমিংওয়ে এখানে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তার অংশগ্রহণের স্মৃতিচারণ করছেন) হেডলাইট তখন অন্ধকার চিরে আলো ছড়াচ্ছিলো। সে তখন পশ্চাৎপসারণের পর থ্রাচ ছেড়ে চলে যাচ্ছিলো। পরে এক সময় লেখার জন্য সে যেসব বিষয় মনে মনে গুছিয়ে রেখেছিলো, এটি ছিলো তারই একটি, যেখানে সকালে নাশতা করতে বসে সে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিলো এবং বালগাফার পর্বতমালায় জড়িয়ে থাকা তুষার দেখছিলো আর নানসেনের সেক্রেটারি বুড়ো লোকটিকে জিজ্ঞেস করছিলো এগুলো তুষার কিনা। বুড়ো লোকটি সেদিকে তাকিয়ে বলছিলো- না, ওগুলো তুষার নয়। এত আগে তুষার জমে না। সেক্রেটারি অন্য মেয়েদের সে কথারই পুনরাবৃত্তি করে বলছিলো, তাকিয়ে দেখো না। এগুলো তুষার নয় এবং তখন তারা সবাই বলছিলো, না, এগুলো তুষার নয়, আমরা ভুল করেছিলাম। কিন্তু ওগুলো ঠিকই তুষার ছিলো এবং সে যখন সমাধান হিসেবে লোক অদল-বদল করাটাকেই বেছে নিলো তখন সে তাদের সেদিকেই ঠেলে দিয়েছিলো। আর সেই শীতকালে তারা মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেই বরফের ভেতরেই পদদলিত হয়েছিলো।

সেই বছরের বড়দিনের গোটা সপ্তাহ জুড়েই খুব তুষার পড়েছিলো গাওয়েরতালে। তারা তখন ছিলো এক কাঠুরের বাড়িতে, যেখানে পুরো ঘরের প্রায় অর্ধেকটা জুড়ে ছিলো চীনামাটির বিশাল চৌকোনা চুলা এবং তারা বিচ গাছের পাতা ভরা তোশকের ওপর ঘুমাতো। সেই সময়েই এলো বরফে রক্তাক্ত পা নিয়ে যুদ্ধ-পলাতক এক সৈনিক। সে বললো, মিলিটারি পুলিশের দল তার পিছু ধাওয়া করে আসছে এবং ঘরটিতে তারা তাকে উলের মোজা দিয়েছিলো পরতে। যতক্ষণ না ট্রাকগুলো চলে গিয়েছিলো ততক্ষণ এটা-ওটা বলে মিলিটারি পুলিশদের ব্যস্ত রেখেছিলো।
বড়দিনে সেবার শ্রুঞ্জে তুষার এত ঝলমলে উজ্জ্বল ছিলো যে ওয়েনসটিউব থেকে আপনি যদি তখন বাইরে তাকাতেন তো নির্ঘাত আপনার চোখ ধাঁধিয়ে যেতো এবং দেখতে পেতেন সবাই চার্চ থেকে বাড়ি ফিরছে। এটি হচ্ছে, সেই জায়গাটা যেখানে তারা পাইন-পাহাড়ের ঢাল বেয়ে স্লেজগাড়ি চালানোর মতো মসৃণ পেশাব-হলুদ রাস্তা ধরে নদীর তীর ধরে হেঁটে যেতো, কাঁধের দিকটা ভারী করে স্কি করতো, এবং মাদলেনেরহাসের ওপর হিমবাহ থেকে যেখানে তারা দৌড়ে নামতো, সেখানে তুষার এত মসৃণ ছিলো যে তা একটি কেকের ওপর ফুসকুড়–নির মতো দেখাতো। তা ছিলো পাউডারের মতো হালকা এবং সে সেই শব্দহীন ধেয়ে চলার কথা স্মরণ করলো, যে গতি একটি পাখির মতোই আপনাকে নিচে ফেলে দিতো।
সেই সময়ে প্রচণ্ড তুষার ঝড়ে মাদলেনেরহাসে তারা পুরো একটি সপ্তাহ তুষার-বন্দী ছিলো।

তারা তখন লণ্ঠনের আলো থেকে ছড়িয়ে পড়া ধোঁয়ার মধ্যে তাস খেলে কাটাতো। বাজির টাকার অঙ্ক সব সময় খুব চড়া থাকতো আর বেশির ভাগ সময়েই হের লেন্ট লোকসান গুনতো। শেষমেশ সে তার সব টাকাই খুইয়ে বসেছিল। সবকিছু। সেই মৌসুমের সব মুনাফা এবং তারপর তার পুঁজিও। লম্বা নাকওলা তাকে সে দেখতে পেত তাস তুলছে এবং তারপর খেলা শুরু করছে, ‘সানস ভোইর’ । তখন সব সময়ই জুয়া খেলা চলতো। যখন কোনো তুষার পড়তো না, তখনও তারা জুয়া খেলতো এবং যখন খুব বেশি তুষারপাত হতো তখনো তারা জুয়া খেলতো। সে তার জীবনের সেই সমস্ত দিনের কথা স্মরণ করলো, যখন সে জুয়া খেলেই কাটিয়ে দিতো গোটা সময়।
 
কিন্তু সেসবের একটি লাইনও সে কখনো লেখেনি। সেই ঠাণ্ডার কথা, উজ্জ্বল সেই বড়দিনের কথা, যখন সমতলের ওপারেই দেখা যেতো শুধু পর্বত আর পর্বত। সেই বার্কারের কথা, যে কিনা ট্রেন ছেড়ে পালাতে থাকা অস্ট্রিয়ান অফিসারদের ওপর বোমাবর্ষণের জন্য তার জঙ্গিবিমান নিয়ে যুদ্ধরেখা অতিক্রম করে উড়ে যেতো, তারা যখন ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ে পালাতে থাকতো তখন তাদের ওপর মেশিনগানের গুলিবর্ষণ করতো। তার মনে পড়লো, এর পরপরই বার্কার মেসে ফিরে আসতো এবং এ ব্যাপারে বলতে শুরু করতো। আর কী শান্তভাবেই না সেসব বলতো আর তার পরেই কেউ বলে উঠতো, ‘তুই বেটা একটা বেজন্মা খুনী। ’

এরা হচ্ছে সেই একই অস্ট্রিয়ানরা, যাদের তারা হত্যা করতো আর পরে সে যাদের সঙ্গে স্কি খেলে কাটিয়েছে। না, একই রকম নয় ব্যাপারটা। হান্স, যার সঙ্গে সে সেই পুরো বছর ধরে স্কি করেছে, ছিলো কাইজার জ্যাগার্সে এবং যখন তারা করাত-কলের ওপর ছোট্ট উপত্যকায় একসঙ্গে খরগোশ শিকার করতো। তখন তারা পাসুবিওতে যুদ্ধের এবং পের্তিকারায় ও আসালোনে আক্রমণের গল্প করতো এবং সে সেসবের একটি শব্দও লেখেনি। লেখেনি মন্টে করোনা, সেটে কমিউনি বা আরসিয়েরোর কথাও।

ভরালবার্গ আর আর্লবার্গে সে কতগুলো শীতকাল কাটিয়েছে? চার বছর, এবং তখন তার সেই লোকটিকে মনে পড়ে গেলো যে একটি খেঁকশেয়াল বিক্রি করতে এসেছিলো। যখন তারা উপহার কেনার জন্য ব্লুডেঞ্জ শহরে (ইল নদীর তীরে ব্লুডেঞ্জ শহরটি অস্ট্রিয়ার ভরালবার্গ প্রদেশে অবস্থিত) হাঁটাহাঁটি করছিলো। তারা আরো কিনতে বেরিয়েছিলো চেরির ভালো স্বাদের কির্সস্ক (রঙহীন টলটলে ফলের ব্রান্ডি, যা ঐতিহ্যগতভাবে তৈরি হয় মরেলো চেরি ফল থেকে)। ‘হাই! হো! সেইড রলি’ গাইতে গাইতে বরফের শক্ত আবরণের ওপর গুঁড়ো তুষারের ওপর দিয়ে দ্রুত পিছল কেটে কেটে ধেয়ে গিয়েছিলো তারা। দৌড়ে ঢাল বেয়ে পড়ার শেষ অংশে এসে সোজা হতে হয়। তারপর ঘের দেয়া বাগানের তিনটি বাঁক পেরুতে হয়। এরপর বাগান থেকে বেরিয়ে খাদ ডিঙাতে হয় এবং বাদে পান্থশালার পেছনের বরফঢাকা রাস্তায় উঠতে হয়। বাঁধনগুলো ঢিলে করে স্কি দুটো লাথি মেরে খুলে পান্থশালার কাঠের দেয়ালে ঠেস দিয়ে রাখুন, তারপর ঢুকে পড়ুন পান্থশালার ভেতর। রাস্তার বাতির আলো জানালা গলে ভেতরে ঢুকছে, যেখানে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ঘরের ভেতরে নতুন মদের ঘ্রাণ উষ্ণতা ছড়াচ্ছে আর তারা অ্যাকোর্ডিয়ান বাজাচ্ছে।

‘প্যারিসে আমরা কোথায় ছিলাম?’ সে নারীকে জিজ্ঞেস করলো, যে এখন আফ্রিকায় তার পাশেই একটি ক্যানভাসের চেয়ারে বসে আছে।
‘ক্রিলনে। তুমি তো তা জানো!’
‘আমি তা কেন জানি?’
‘আমরা যে সব সময় সেখানেই থাকতাম গো!’
‘না। সব সময় নয়। ’
‘সেখানে এবং সেন্ট জেরমেইনের প্যাভিলিয়ন হেনরি-কোয়ার্টারে। তুমি বলেছিলে, সেখানকার ওই জায়গাটিকে তুমি ভালবাসো। ’
‘ভালবাসা হচ্ছে গোবরের ঢিবি’, হ্যারি বলল। ‘আর আমি হচ্ছি সেই মোরগ, ওটির ওপরে গিয়ে ওঠে কুক-কুড়–ক্কু করে ডাক দেওয়ার জন্য। ’
‘তোমাকে যদি চলে যেতেই হয়’, মহিলা বলল, ‘তা হলে পেছনে যা ফেলে যাচ্ছো তার সবকিছু মেরে ফেলা কি খুবই দরকারি? তার মানে, আমি বলতে চাইছি, তুমি কি সবকিছুই নিয়ে যাবে? তোমাকে কি তোমার ঘোড়াটাকে এবং তোমার বউকে মেরে ফেলতে হবে আর তোমার জিনটাকে আর বর্মটাকে পুড়িয়ে ফেলতে হবে?’
‘হ্যাঁ’, জবাবে সে বললো। ‘তোমার ঐ হতচ্ছাড়া টাকা হচ্ছে আমার বর্ম। আমার তরবারি ও বর্ম। ’
‘তা করো না। ’
‘ঠিক আছে। আমি তা করা বন্ধ করবো। আমি তোমাকে আঘাত দিতে চাই না। ’
‘এখন একটু দেরি হয়ে গেছে। ’
‘তা হলে ঠিক আছে। আমি তোমাকে আঘাতই করবো। তা বরং আরও বেশি মজার হবে। আমি সব সময়ই তোমার সঙ্গে সত্যিই যা করতে চাই তা এখন আমি করতে পারি না। ’
‘না, ওটা সত্য নয়। তুমি অনেককিছু করতেই ভালবাসো এবং তুমি যা যা করতে চাও তার সবই আমি করেছি। ’
‘ওহ্, যিশুর দোহাই, বড়াই করা বন্ধ করো তো! কি, করবে বন্ধ?’
এ কথা বলে সে তার দিকে তাকালো এবং দেখতে পেলো সে কাঁদছে।
‘শোনো’, সে বললো, ‘তুমি কি মনে করো এটা করা খুব মজার? আমি জানি না কেন এসব করছি। আমি মনে করি তোমাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই এই হত্যাচেষ্টা। আমরা যখন কথা বলতে শুরু করেছিলাম তখন আমি একদমই ঠিক ছিলাম। এভাবে বলতে শুরু করতে চাইওনি। আর দেখো, এখন আমি একটি জলচর কুট পাখির মতোই খ্যাপামো করছি এবং তোমার সঙ্গে যতটা পারি নির্দয় আচরণ করছি। অমি যেসব বলছি সেসবকে পাত্তা দিও না তো লক্ষ্মীটি! আমি তোমাকে সত্যিই ভালবাসি। তুমি তো জানো, আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি তোমাকে যেভাবে ভালোবাসি সেভাবে আমি কাউকে কখনও ভালোবাসিনি। ’
ফস করে মিথ্যেটা সে সেই পরিচিত ঢঙেই বলে ফেললো, যেভাবে মিথ্যে বলে সে কিছু করে-কেটে খায়।
‘তুমি আমার কাছে খুবই আকর্ষণের। ’
‘তুই কুত্তি’, লোকটি বললো, ‘তুই একটা বড়লোক কুত্তি। ওটাই কবিতা। আমি এখন পুরোপুরি কবিতার ভেতরে আছি। পচা এবং কবিতা। পচা কবিতা। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৬
এসএমএন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।