স্মৃতিরেখা—
অনেক দিন বাদে তোমাকে লিখতে চাইছে মন।
মন কি তবে তোমাকে মুক্তি দিতে চাই?
মনের বদ্ধ কুঠিরে তোমার স্মৃতিটুকু সযত্নে তোলা ছিলো।
ভেবেছিলাম মানব জীবন পার করে দেবো স্মৃতিটুকু আগলে রেখেই।
পারছি কই? সব কিছু এক সময় ভেঙে পড়ে।
রাজা যায় রাজা আসে, জল সেতো বাষ্প হয়ে আকাশে গিয়ে পুনরায় জমিনেই ফেরে,
গর্ভের সন্তানও এক সময় বেরিয়ে আসে প্রবল আর্ত চিৎকারে।
তোমার স্মৃতিগুলো আজ মুক্তি চাচ্ছে।
মনের বদ্ধ কুঠিরে তারা থাকতে চায় না আর।
তারা মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়বে, বট বৃক্ষের মাঝে বাসা বাঁধবে,
তবেই না তাদের জীবন ধন্য হবে।
এই তো সেদিন—
নাহ! ইদানিং সব গুলিয়ে ফেলি।
চোদ্দৌ বছরকেও সেদিন মনে হচ্ছে।
দুঃখের ক্ষতের দগদগে লাল অংশ চির অমলিন।
দিন-মাস-বছর যায়,
তবে ক্ষত রয়ে যায় প্রথম দিনের মতোই,
যেন এইমাত্র আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
স্মৃতিরেখা—
আজ থেকে চৌদ্দবছর আগে
হঠাৎ তুমি এসে বলেছিলে—
আকাশ! আমাকে মুক্তি দাও, মুক্তি দাও।
সেদিন হেয়ালি করে বলেছিলাম—
পালাতে চাও?
যাও, এক্ষুণি যাও।
দেখো, আকাশের ছায়ার বাইরে কোন জগৎ পাও কিনা?
স্মৃতিরেখা—
তুমি পেরেছো, আকাশহীন আশ্রয় খুজে নিতে।
তোমার স্মৃতিরাও পারবে।
তাদের আর আটকে রাখবো না।
তারা যখন মুক্তি চাচ্ছে,
তোমার মতো তাদেরকেও
এক কথায় মুক্তি দিলাম।
ইতি—
তোমার নব যৌবনের বেদীতে বিসর্জিত হওয়া এক ফোঁটা কুয়াশা।
লোকে যাকে আকাশ বলে ডাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
এসএনএস