বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের আয়েজনে তিনি জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে সংগীত পরিবেশন করেন।
এসময় তার সঙ্গে তবলার সঙ্গতে সুর তোলেন অভিষেক চ্যাটার্জী, হারমোনিয়ামে বিজন মিস্ত্রী এবং তানপুরায় আওয়াজ তোলেন মৃত্যুঞ্জয় পাঠক ও আহমেদ মায়া আখতারী।
অনুষ্ঠানে শিল্পী রাগ পুরিয়ায় বিলম্বিত বন্দিসে 'পিয়া গুন বন্ত' (তাল একতাল), দ্রুত বন্দিসে 'পিয়া সঙ্গ লাগী লগন মোরী আলী' (তাল একতাল), রাগ তীলক কামদের তিনতালে 'নীর ভরণ ক্যাসে যাও সখী'সহ ভজন 'সাধ রে সুর বেশ সাধ রে' পরিবেশন করেন।
পরিবেশনা সম্পর্কে সঙ্গীতজ্ঞ আজাদ রহমান বলেন, গান গুণে প্রাণ ভরে গেলো। শিল্পী খুব যত্নে স্বরগুলো উপস্থাপন করছিলেন। অন্য শিল্পীদেরও এমন গান শোনা উচিত।
শিল্পীর পরিবেশনা নিয়ে সরকারি সঙ্গীত কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্টি হেফাজ বলেন, পরিবেশনা অসাধারণ। এত কম বয়সে শাস্ত্রীয় সংগীতে শিল্পীর এতোটা দখল সত্যিই অনন্য। আজকের আয়োজনে যারা গান শুনতে পারলো না, তাদের জন্য আফসোস রয়ে গেলো।
১৯৯৫ সালে স্বনামধন্য সংগীত পরিবারে জন্ম নেওয়া সপ্তক চট্টোপাধ্যায় শিশু বয়সেই দাদা বিখ্যাত শাস্ত্রীয়-সংগীতশিল্পী অরুণ চট্টোপাধ্যায় ও বাবা সারথী চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সংগীতের প্রশিক্ষণ নেন। ভজন ও ঠুমরিসহ সংগীতের বিভিন্ন শাখায় তিনি অসাধারণ প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। তিনি ‘আইসিসিআর’ এবং ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’র একজন তালিকাভুক্ত শিল্পী। এছাড়া দিল্লিভিত্তিক সংগঠন ‘দ্য হংসরাজ প্রোজেক্টে’র সঙ্গে বর্তমানে যুক্ত রয়েছেন তিনি।
পরিবেশনা শেষে শিল্পীর সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এটা আমার ২য় পরিবেশনা। বাঙালিরা যেমন আতিথেয়তার দিক দিয়ে অনন্য, তেমনি শাস্ত্রীয় সংগীতেও তাদের রয়েছে প্রচণ্ড ভালোবাসা। এমন সংগীতপ্রেমীদের কাছে সংগীত পরিবেশন করতে পেরে ভালো লাগছে।
অনুষ্ঠান শেষে শিল্পীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক জয়শ্রী কুণ্ডু।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
এইচএমএস/এএ