বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব বাদ্যযন্ত্র ও যন্ত্রসংগীত। এর কারণ হিসেব বলা হয়, সংগীতে পাশ্চাত্য যন্ত্রের অত্যাধিক ব্যবহার এবং দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের প্রতি উদাসীন মনোভাব।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) ছিল এ উৎসবের তৃতীয় দিন। আর এতে অংশ নেয় দেশের ছয় জেলার শিল্পীরা।
পৌষের শেষ বিকেলে দক্ষিণ ভারতীয় ঘরানার বেহালা এবং বাংলার গ্রামীণ সুরে বাঁশি বাজিয়ে আসর শুরু করেন দিনাজপুরের যন্ত্রসংগীত শিল্পীরা। বাংলার হাটে-মাঠে ছড়িয়ে থাকা মেঠোসুরের জাদুতে শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখেন তারা।
ওস্তাদ একেএম শাহাবুদ্দিন খানের বিষণ্ণ সুর হিমেল হাওয়ার সন্ধ্যায় মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে শ্রোতাদের। দেশীয় তারযন্ত্রের সঙ্গে হারমোনিয়াম ও তবলার উচ্ছলতা ছড়িয়ে দেন নোয়াখালীর শিল্পীরা।
তৃতীয় দিনের আয়োজন শেষে উৎসব প্রসঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, একতারা, খোল, ঢোল, মন্দিরা, কাঞ্জিরা, কাঁসরঘণ্টার মতো ঐতিহ্যময় দেশীয় বাদ্যযন্ত্র টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যেই প্রথমবারের মতো এ আয়োজন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণের নন্দন মঞ্চে নতুন বছরের প্রথমদিন শুরু হয় দশদিনের উৎসব- ‘জাতীয় যন্ত্রসংগীত উৎসব- ২০১৮’।
উৎসব চলবে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। শুরু- বিকাল ৪টা থেকে। আয়োজনটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা; জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
এইচএমএস/এনএইচটি