ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

আইডিএলসি নাট্যোৎসবের ২য় দিনে দুই নাটক

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৮
আইডিএলসি নাট্যোৎসবের ২য় দিনে দুই নাটক 'বাংলার মাটি বাংলার জল' নাটকের একটি দৃশ্য

ঢাকা: মঞ্চনাটক শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং চিরতরুণ মনের নানা রঙে সাজানো সমাজ ও সভ্যতার এক বাস্তব প্রতিচ্ছবি। এ উপলব্ধি থেকেই মঞ্চনাটকে তরুণদের সম্পৃক্ত করে নতুন প্রাণ সঞ্চারের লক্ষ্যে আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে ‘আইডিএলসি নাট্যোৎসব ২০১৮’।

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হল ও পরীক্ষণ থিয়েটার হলে একযোগে শুরু হওয়া এ উৎসবের দ্বিতীয় দিন ছিল বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর)।

পাঁচ দিনব্যাপী এ নাট্যোৎসবে দেশের স্বনামধন্য নাট্যদলের পাশাপাশি ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগও তাদের নাটক প্রদর্শন করবে।

বিনামূল্যে দর্শকদের মঞ্চ নাটকের দেখানোর মাধ্যমে নাট্যমঞ্চকে আনন্দের উৎস হিসেবে গড়ে তোলা এবারের আয়েজনের মূল লক্ষ্য।

বিকেলে উৎসবে নাট্যসংগঠন ‘ঢাকা পদাতিক’ মঞ্চস্থ করে নাটক ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’। এ নাটকটি রচনার পাশাপাশি নির্দেশনাও দিয়েছেন নাট্যকার ও নির্মাতা মাসুম আজিজ।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানি মাস্টার দা সূর্যসেনের ওপর প্রহসনের বিচার ও অন্যায় হত্যাকাণ্ডের বিষয়বস্তু উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’। ইতিহাসনির্ভর চরিত্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠে এসেছে সূর্যসেন, প্রীতিলতা, কল্পনা দত্ত, অম্বিকারায়, ব্রিটিশ উকিল নির্মল সেন, বাঙালি উকিলসহ প্রায় ৪০টি চরিত্র। ইতিহাসকে আশ্রয় করেই আবর্তিত হয়েছে নাটকের কাহিনী। নাটকটিতে একদিকে যেমন মাস্টারদাকে বর্তমান সময়ের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে, তেমনি দর্শকদের করা হয়েছে বিচারক হিসেবে।

এ নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরী, মাহবুবা হক কুমকুম, আব্দুল্লাহ রানা, হাসনা হেনা শিল্পী, মাহাবুবুর রহমান টনি, সাবিহা জামান, শ্যামল হাসান, কাজী আমিনুর, ফিরোজ হোসাইন, আক্তার হোসেন প্রমুখ। নাটকটির মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন আমিনুর রহমান আজম, পোশাক পরিকল্পনায় আইরিন পারভীন লোপা এবং আবহসঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আবুল বাশার সোহেল।

এরপর সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে নাট্যদল ‘পালাকার’ মঞ্চস্থ করে তাদের নাটক ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’। কবিগুরুর ছিন্নপত্র অবলম্বনে সৈয়দ শামসুল হক রচিত এ নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন আতাউর রহমান।

১৮৮৯ থেকে ১৮৯৫ সময়কাল পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথের জীবনের সাধনা পর্যায় নামে পরিচিত। এ সাধনা ছিল রবীন্দ্রনাথের সম্পাদিত পত্রিকাগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং তার সৃষ্টিউৎকর্ষের অনন্য নিদর্শন। এ সময়টায় তিনি বাংলার শিলাইদহ, পতিসর ও শাহজাদপুরের মানুষ, পরিবেশ ও প্রকৃতির খুব কাছাকাছি ছিলেন। একান্ত হয়েছেন বাংলার বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির সঙ্গে; যার চমৎকার চিত্র রয়েছে সে সময় রচিত তার সব রচনাকর্মে, বিশেষত ছিন্নপত্রে। ইন্দিরা দেবীকে লেখা সে সব চিঠিগুলোতে বাংলাদেশ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের উপলব্ধি ও দর্শনের পাশাপাশি নতুন দৃষ্টিতে এ বাংলাকে দেখার কথা বলা হয়েছে পালাকারের এ নাটকটিতে।

নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শামীম সাগর, আমিনুর রহমান মুকুল, দিপ্তা রক্ষিত লাভলী, শাহরিয়ার খান রিন্টু, চারু পিন্টু, কাজী ফয়সল, সোনিয়া আক্তার, শর্মীমালা, অনিকেত পাল বাবু, ইভা খান, সেলিম হায়দার, ফাহমিদা মল্লিক শিশির, রফিক নটবর, লিয়াকত লিকু, ফাইজুর মিল্টন, নভেম্বর টুইসডে রোদ, মুনিরা অবনী, অধরা হাসান, অরিত্র, আরিফুল হক চঞ্চল, শেখজাদা প্রিয়ঙ্কর শুদ্ধ, ঐক্য, শুভ্র নীল, ঐশ্বী, মাহমুদ নূরী শাহ ও শতাব্দী সানজানা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।