ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

লাল-সবুজে একাকার সূর্যোদয়ের দেশ

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
লাল-সবুজে একাকার সূর্যোদয়ের দেশ জাপান-বাংলাদেশের যৌথ পরিবেশনা

ঢাকা: সবুজের বুকে লাল টকটকে সূর্যের দেশ বাংলাদেশ। আর সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। দেশটির পতাকাও বহন করে লাল সূর্য। স্বাধীনতার শুরু থেকেই দু’দেশের বন্ধুত্ব। তাইতো দু’দেশের শিল্পীরা এক হয়ে গাইলেন ‘এই বন্ধন হবে না তো শেষ, তুমি লাল সবুজের দেশ, আমি সূর্যোদয়ের দেশ।

এমন দৃশ্যকল্প ছিল শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘জাপান ফেস্ট ২০১৮’র।  

ঢাকার জাপান দূতাবাস ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলো ঝলমলে এ মনোজ্ঞ আসর।

ঢাকাকেন্দ্রিক জাপানি ব্যান্ড ‘বাজনা বিট’র সঙ্গে বাংলাদেশি শিল্পী সন্ধির অপূর্ব পরিবেশনায় সমগ্র মিলনায়তনে ছড়িয়ে পড়েছিলো শিল্পের সুষমা। জাপানি শিল্পীদের কণ্ঠে বাংলাদেশের মানুষের গুণগান, এদেশের প্রকৃতির গুণগান ও বাংলা ভাষায় গানের পরিবেশনায় জাপান ও বাংলাদেশের শিল্পীরা শুধু দু’দেশের সংস্কৃতি নয়, যেন দু’দেশের বন্ধুত্বের গভীরতাই তুলে ধরলেন।  

এক মঞ্চে থেকেই দু’দেশের শিল্পীরা দ্যুতি ছড়ানোর পাশাপাশি পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন। আর মিলনায়তন ভর্তি দর্শক-শ্রোতাও জাপানের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হলো।  

জাপান ফেস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমির সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে জাপান অন্যতম অংশীদার। মুক্তিযুদ্ধের পরে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের মধ্যদিয়ে দিয়ে দু'দেশের সম্পর্কের যে নতুন মাত্রা পেয়েছিল, বাংলাদেশ জাপানের সেই মৈত্রী, বন্ধুত্বের দৃঢ়তা সেভাবেই সামনে এগিয়ে যাবে।

লিয়াকত আলী লাকী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপানের মানুষের দার্শনিক গভীরতা তাদের জীবনভাবনাকে উন্নত করেছে। তাদের এ সাংস্কৃতিক ভিত্তি বাংলাদেশের মানুষের 
সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপান ও বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্ক দিন দিন আরো গভীর হচ্ছে।  

অনুষ্ঠানে গানে গানে জাপানের ঋতুবৈচিত্র্য, ফুল, ফল, নদী ও বাংলাদেশের প্রকৃতির অপরূপ রূপের বর্ণনা করেন জাপানি শিল্পীরা। ‘আমি তোমার সাথে সারাজীবন পথ চলতে চাই, আমি বিভোর হয়ে তোমার প্রেমে পড়ে যাই’ জাপানি শিল্পীর এমন বাংলা গানে সমগ্র মিলনায়তন থেকে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

আলো ঝলমলে মঞ্চ থেকে সুরের মূর্চ্ছনার সঙ্গে পেছনের পর্দায় ফুটে উঠছিলো জাপান ও বাংলাদেশের মানুষের বন্ধুত্বের গভীরতার নানা চিত্র।

এসময় জাপান ও বাংলাদেশ দু'দেশের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। জাপানি ট্র্যাডিশনাল ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক পরিবেশনের মধ্যদিয়ে এ আয়োজন শেষ হয়।

বন্ধুত্বের এ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে মিলনায়তনের লবিতে ছিল জাপানি বনসাই, বাংলাদেশ-জাপানের সংস্কৃতি ও বন্ধুত্বের বিভিন্ন আলোকচিত্রের প্রদর্শনী।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।