এ দিন বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে উৎসবটির উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। আট দিনব্যাপী এ আয়োজন শেষ হবে ১৫ ডিসেম্বর।
দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশ, উন্নয়ন এবং সুষ্ঠু ও নির্মল চলচ্চিত্র আন্দোলনে এ উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশিষ্ট জনরা।
বৃহস্পতিবার (০৬ ডিসেম্বর) চলচ্চিত্র উৎসবের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করে শিল্পকলা একাডেমি। এসময় আয়োজনের এসব তথ্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- একাডেমির সচিব বদরুল আনম ভূঁইয়া, পরিচালক ড. কাজী আসাদুজ্জামান ও জসিম উদ্দিন, উৎসব আয়োজন কমিটর সদস্য ও সমন্বয়কারী মাসুদ সুমনসহ একাডেমির কর্মকর্তারা।
এতে জানানো হয়, ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব’ উপলক্ষে গঠিত পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচক কমিটির সদস্যরা উৎসবে ৪৮টি স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং ২২টি প্রামাণ্যচিত্রসহ ৭০টি চলচ্চিত্র নির্বাচন করেছেন। চলচ্চিত্র নির্বাচক কমিটির সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক, বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদের উপদেষ্টা সাজ্জাদ জহির, বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের একে রেজা গালিব, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মামুন এবং শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের সহকারী পরিচালক চাকলাদার মোস্তফা আল মাস্উদ।
এ উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয় ক্ষেত্রে পৃথকভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি পুরস্কার দেওয়া হবে। এর জন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকীকে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি জুরি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষক ফরিদুর রহমান, চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ। এছাড়া কমিটির সদস্য সচিব হলেন- শিল্পকলা একাডেমির সচিব এবং নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক বদরুল আনম ভূঁইয়া।
স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয় ক্ষেত্রে পৃথকভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারের অর্থমূল্য থাকবে এক লাখ টাকা। এছাড়া শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ৫০ হাজার টাকা ও বিশেষ জুরি পুরস্কারে থাকবে ২৫ হাজার টাকার অর্থমূল্য ।
১৫ ডিসেম্বর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে উৎসবের সমাপনী দিনে এসব পুরস্কার ঘোষণা করা হবে এবং উৎসবে অংশ নেওয়া চলচ্চিত্রের সকল নির্মাতাদের সনদপত্র দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় আয়োজনে।
শিল্পকলা একাডেমি দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নানামুখী কাজ করে চলছে। ২০১৫ ও ২০১৭ সালে দু’বার ৬৪টি জেলায় একযোগে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’ আয়োজন, ২০১৬ সালে এবং এ বছর দ্বিতীয় বারের মতো ৬৪টি জেলায় ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব’ আয়োজন, ২০১৭ সালে দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় ‘বাংলাদেশ শিশু চলচ্চিত্র উৎসব’ আয়োজন করা হয়। এছাড়া ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ফিল্ম সোসাইটি গঠনের উদ্যোগও নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
এইচএমএস/টিএ