শনিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এ বিষয়ে অবহিতকরণ করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে পরিবারের সদস্যরা।
এসময় শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, আনোয়ার হোসেনের দুই ছেলে আকাশ হোসেন ও মেঘদূত হোসেন, শিল্পীর ছোট ভাই আলী হোসেন বাবুসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখন থেকে আনোয়ার হোসেনের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদগুলো একটি ফাউন্ডেশন করে তার মাধ্যমে সংরক্ষণ, রক্ষাণাবেক্ষণ, গবেষণা এবং প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়া আনোয়ার হোসেন কোনো বৈষয়িক সম্পত্তি রেখে না যাওয়ায় পরিবারের স্বার্থে আনোয়ার হোসেনের শিল্পকর্ম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই শিল্পীর নাম উল্লেখ করতে হবে এবং ফাউন্ডেশনকে রয়্যালিটি দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেনের ছেলে আকাশ ও মেঘদূত বলেন, যদি আপনারা কেউ জানেন যে, আমার বাবার কোনো সম্পদ কোথাও আছে, তবে আমাদের সে ব্যাপারে অবহিত করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এখন থেকে বাবার চিত্রকর্ম বা লেখা কোথাও প্রকাশ বা প্রচারের জন্য ফাউন্ডেশনের কপিরাইট অনুমতিসহ রয়্যালিটি দেওয়ার মাধ্যমেই তা প্রকাশ করতে হবে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আনোয়ার হোসেনের প্রায় ৫০-৬০ হাজারের মতো সেলুলয়েড নেগেটিভ, বিভিন্ন রচনা ও সাক্ষাৎকার রয়েছে। আলোকচিত্রী হিসেবে তার প্রকৃত কাজের প্রায় ৯০ ভাগই এখনো জনগণের অদেখা রয়েছে।
এছাড়া প্রথম শহীদ মিনার ভাঙার ছবি, সে স্থানে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ের ছবিসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক মুহূর্তকে তিনি বন্দি করেছেন তার ক্যামেরার ফ্রেমে।
তারা জানান, গঠিত এ ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে থাকবেন আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই আলী হোসেন বাবু। শিল্পীর স্ত্রী এবং ছেলে দেশের বাইরে থাকায় তারা সদস্য হিসেবে দেশের বাইরে থেকেই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন এবং তাদের অনুমতিক্রমেই ফাউন্ডেশনের যাবতীয় কাজ করা হবে। শিগগিরই গঠিত হতে চলা এ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আরো যুক্ত থাকবেন দেশের সংস্কৃতি অঙ্গণের বিশিষ্টজনেরা। এর মধ্যে নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী, চিত্রপরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন মামুন, রাজিবুল হাসান উল্লেখযোগ্য।
আয়োজনে লিয়াকত আলী লাকী বলেন, শিল্পী আনোয়ার হোসেন কতো রকমভাবে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। আমরা সবাই মিলে ঠিক তেমনিভাবেই তাকে মর্যাদা দেবো। শিল্পী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনকে বিশ্বাস করে তার যে শিল্পকর্ম দিয়ে গেছেন, শিল্পীর সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেই এখন সেগুলো আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে।
এছাড়া নির্বাচনের পর শিল্পকলা একাডেমিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সাহায্যে শিল্পীর ৪০ বছরের আলোকচিত্র এবং ৫০ বছরের চলচ্চিত্রের কাজ নিয়ে একটি প্রদর্শনী করা ও একটি অ্যালবাম প্রকাশের ব্যবস্থা করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
এইচএমএস/আরবি/