বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে বিকেলে শুরু হয় শেষ দিনের আয়োজন। শুরুতে প্রামাণ্যচিত্র অপারেশন জ্যাকপট প্রদর্শিত হয়।
একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ হাসান ইমাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ এবং মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেতা জাহিদ হাসান।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পর্বে একাডেমির নৃত্যদলের পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাঙামাটি এবং ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর লোকনৃত্য পরিবেশন করে অন্তর দেওয়ান পরিচালিত নৃত্যদল। ‘জাগো বাংলাদেশ..’ এবং ‘ও কি রূপ দেখি নয়ন ভরিলো..’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে নন্দন কলাকেন্দ্র।
কৃপা সিন্ধু রায়ের পরিচালনায় ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য কুশান যাত্রা পরিবেশিত হয়। সংগীত পরিবেশন করেন ছন্দা চক্রবর্তী, শফি মন্ডল, তানভীর আলম সজীব ও বিউটি। মঞ্চসারথী আতাউর রহমান নির্দেশনায় সৈয়দ শামসুল হক অনুবাদিত উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের ‘হ্যামলেট’ নাটকের অংশ বিশেষ পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
মঞ্চসারথী আতাউর রহমানের নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রক্তকরবী নাটকের অংশ বিশেষ পরিবেশন করে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়। এছাড়া একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক দলের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন শামীমা তুস্টি।
২১-২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন নানান আয়োজনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন বিকেলে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে আরো স্থান পায় আলোচনা, চলচ্চিত্র, নাটক, পালা, সঙ্গীত ও নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিকসহ নানান ধরনের পরিবেশনা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
এইচএমএস/এমএমএস