ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সোনারগাঁওয়ে লোকজ উৎসবের উদ্বোধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
সোনারগাঁওয়ে লোকজ উৎসবের উদ্বোধন বক্তব্য রাখছেন এমপি কে এম খালিদ, ছবি: বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

মেলা চত্বর প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

মেলা চলবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি উদ্বোধনের সময় বলেন, এই লোকজ উৎসব আমাদের সংস্কৃতির অংশ। আমাদের চিত্ত ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে এই মেলা। উৎসবে বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্যও ফুটে উঠে মেলায়।

ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, সোনারগাঁও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসের সাবেক কমান্ডার সোহেল রানা প্রমুখ।

এবারের মেলার আকর্ষণ গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম ‘ভালবাসার তামা-কাঁসা- পিতল শিল্পের’ বিশেষ প্রদর্শনী।

প্রদর্শনী উপলক্ষে গবেষণামূলক একটি ক্যাটালগ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। এবারের মেলায় বাজেট ধরা হয়েছে ৭০ লাখ টাকা। অন্যান্য বছরের মতো এবছরও মেলা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ফাউন্ডেশনের পুরো এলাকা বর্ণাঢ্যভাবে সাজানো হয়েছে।

ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৬০ জন কারুশিল্পী মেলায় প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন। তাদের জন্য ৩০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে । এর মধ্যে ঝিনাইদহ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি, চট্টগ্রামের নকশিপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁওয়ের হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশিকাঁথা, নকশি হাতপাখা, মুন্সিগঞ্জের শীতলপাটি, মানিকগঞ্জের তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটা শিল্প, সোনারগাঁওয়ের পাটের কারুশিল্প, নাটোরের শোলার মুখোশ শিল্প, মুন্সিগঞ্জের পট চিত্র, ঢাকার কাগজের হস্তশিল্পসহ মোট ১৭০টি স্টল থাকছে মেলায়।

এছাড়াও লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান,লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গাঁয়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি থাকবে।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ফাউন্ডেশনে আগত দর্শনার্থীরা মেলা উদ্বোধনের সঙ্গে তাদের কেনাকাটাও সেরে নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।