ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

মুগ্ধতা ছড়ালো ‘উত্তরের হাওয়া’র সাহিত্য সন্ধ্যা

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৯
মুগ্ধতা ছড়ালো ‘উত্তরের হাওয়া’র সাহিত্য সন্ধ্যা ‘উত্তরের হাওয়া’র সাহিত্য সন্ধ্যার মঞ্চে কবি জুয়েল মাজহারসহ অতিথিরা

সম্প্রতি প্রকাশিত গ্রন্থ আলোচনা, প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ কবিদের কবিতা আবৃত্তি এবং জমজমাট সাহিত্য আড্ডার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হলো উত্তরের হাওয়া সাহিত্য সন্ধ্যা। 

শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাঁটাবনের কবিতা ক্যাফেতে ‘উত্তরের হাওয়া’ সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কবি অনিরুদ্ধ দিলওয়ারের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।  

লেখক, সমালোচক, আবৃত্তিশিল্পী এবং পাঠকের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানে সম্প্রতি প্রকাশিত জেসমিন মুননী’র গল্পগ্রন্থ ‘সোনার হরিণ’ নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও শিক্ষাবিদ ড. শোয়াইব জিবরান।

কবি রকিব লিখনের ‘তুমিই বাংলাদেশ’ কবিতাগ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও নাট্যব্যক্তিত্ব শেখ ফিরোজ আহমেদ বাবু, কবি নাজমুল আহসানের ‘ক্রমশ জলের দিকে’ কবিতাগ্রন্থের ওপর আলোচনা করেন হোসেন দেলওয়ার, কবি রবিউল আলমের কবিতাগ্রন্থ ‘ভাবনারা ইয়ারফোনের তারের মতো’র ওপর আলোচনা করেন কবি ও সম্পাদক লিয়াকত বখতিয়ার এবং কবি খয়রুজ্জামান খসরুর ‘দীর্ঘশ্বাস ভেজা আলিঙ্গন’ কবিতাগ্রন্থের ওপর আলোচনা করেন কবি রকিব লিখন।  

প্রতিটি গ্রন্থের ওপর চুলচেরা বিশ্লেষণ, বিচ্যুতি এবং সমালোচকদের খোলামেলা এবং প্রাণবন্ত আলোচনায় উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে সাহিত্য সন্ধ্যাটি উপভোগ করেন। প্রতিটি গ্রন্থের আলোচনা শেষে লেখকরা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এমন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন।

 ‘উত্তরের হাওয়া’র সাহিত্য সন্ধ্যা শেষে এক ফ্রেমে উপস্থিত লেখক-পাঠকরা‘উত্তরের হাওয়া’র আবৃত্তি বিভাগের প্রযোজনায় তরুণ কবি রুহুল মাহফুজ জয়, হাসনাত শোয়েব, রিক্তা রিচি, তাহিতি ফারজানা এবং রিমঝিম আহমেদের কবিতা আবৃত্তি করেন নাজমুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, সামসুন্নাহার সোমা এবং মোক্তার হোসেন। মঞ্চে উপবিষ্ট কবির সম্মুখে তার কবিতা আবৃত্তির এই নতুন আঙ্গিককে উপস্থিত সব দর্শক-শ্রোতা স্বাগত জানান। আবৃত্তি চলাকালে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলমের বাঁশির আবহসুরে বিশেষ আমেজের সৃষ্টি হয়।

সমালোচনা সাহিত্যের জীর্ণদশায় ‘উত্তরের হাওয়া’র এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি জুয়েল মাজহার বলেন, ভিন্নমত সাহিত্যে ও শিল্পে সৌন্দর্য দেয়। অথচ আমাদের দেশে ভিন্নমতের জায়গা খুব সংকুচিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশে সমালোচনা সাহিত্য প্রায় নেই বললেই চলে। গত দু’তিন দশকে আমাদের শিল্পের সাহিত্যের অঙ্গনে ভিন্নমত খুব বেশি ঠাঁই পাচ্ছে না।  

তিনি লেখকদের পরিমিতিবোধের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, পরিমিতিবোধ সবকিছুতেই সৌন্দর্য বাড়ায়।

‘উত্তরের হাওয়া’র প্রধান সমন্বয়ক, কবি ও সম্পাদক সোহেল হাসান গালিবের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি হোসেন দেলওয়ার বলেন, সবার সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে উত্তরের হাওয়া শিল্প সাহিত্যের বিকাশে তার এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে।  

তিনি জানান, শীঘ্রই উত্তরের হাওয়া সম্প্রতি প্রকাশিত বইসমূহের ওপর আলোচনাসহ তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল কবিদের কবিতা নিয়ে আরেকটি পর্ব আয়োজন করবে। এছাড়া বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে বাংলা কবিতার বাঁকবদল নিয়ে ‘তর্ক-বিতর্কে বাংলা কবিতা’ শিরোনামে ভিন্নধর্মী একটি সেমিনারের আয়োজনের কথা ঘোষণা করেন।  

আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন কবি ও সম্পাদক অনিকেত শামীম, কবি আবদুর রাজ্জাক, অয়ন আহমেদ, অনিন্দ্য আকাশ, জহির হাসান, সাখাওয়াত টিপু, মেঘ অদিতি, কথাসাহিত্যিক, গবেষক ও সাংবাদিক বিনয় দত্ত, গীতিকার পারভীন মিনু, হাসান মাহমুদ সালাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।