ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

শিল্পকলায় বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৯
শিল্পকলায় বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান/ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘শিল্পের আলোয় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত বিভিন্ন গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

এসময় কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বাঙালির আবেগ, ভালোবাসা, বিশ্বাস সবই আছে। তবে বাঙালির ইতিহাস নেই। আমরা আমাদের ইতিহাস সেভাবে লিখতে পারিনি। তাই বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসটা লিখলে সেভাবে সিস্টেমেটিক জায়গা থেকেই তা লিখতে হবে। ইতিহাস যেন বিকৃত না হয়, সেজন্য সঠিক ইতিহাস এবং সে তথ্য আমাদের কাছে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক বই লেখা হচ্ছে। তবে মৌলিক বইয়ে সংখ্যা খুবই কম। তিন মাসে, ছয় মাসে বা এক বছরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটা প্রবন্ধের বই বা তার জীবনী লেখা যায় না। সেদিক থেকে ভালো বই লিখতে হবে। আর আমাদের এখন বঙ্গবন্ধুর উপর একটি আন্তর্জাতিক জীবনী প্রয়োজন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে মানুষ যন্ত্র ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে সে নিজেও যন্ত্রে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। মানুষ এখন অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিক। এ সমস্যা শুধু আমাদের দেশের নয়, পুরো বিশ্বের। ইউরোপের দেশগুলোর দিকে যদি তাকায়, তবে দেখবো গত ১০০ বছরের তুলনায় সেখানে তাদের বস্তুগত উন্নয়ন অনেক হয়েছে কিন্তু মানবিকতার উন্নয়ন কতটা হয়েছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

তিনি বলেন, আমরা শুধু অবকাঠামো নয়, উন্নত জাতি গঠন করতে চাই। যাদের মধ্যে মমত্ববোধ থাকবে, দেশাত্মবোধ থাকবে। আর যাদের মধ্যে মমত্ববোধ ও দেশাত্মবোধ থাকবে তারা কখনও চিকিৎসক হয়ে শুধু টাকার জন্য গ্রাম থেকে শহরে চলে আসবে না, বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে না।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার নিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে সরাসরিভাবে যারা জড়িত, এখন পর্যন্ত শুধু তাদেরই বিচার হয়েছে। তবে এর ষড়যন্ত্রকারী বা বিদেশি মদতদাতাদের বিচার হয়নি। এমন অবস্থায় এখানেই বিচারকার্য থামলে ৫০ বছর পর আগামী প্রজন্ম শুধু এ খুনিদেরই চিনবে, বাকিদের নয়। তাই তাদেরও বিচারের ব্যবস্থা করা উচিত। আর এ বিষয়েও গবেষণাধর্মী বই লেখা যেতে পারে, যা রাষ্ট্রের কাজে সহযোগিতা করবে।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদন করে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১০০টি বই পর্যালোচনা করা ২০ জনের মধ্য থেকে বই পর্যালোচনার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাসুদ রহমান, পর্যালোচক নাহিদা আশরাফি, পীযূষ কান্তি বড়ুয়া এবং স্বকৃত নোমান। বই পর্যালোচনা করা ২০ জনের লেখা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে প্রকাশ করা হবে বিশেষ প্রকাশনা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
এইচএমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।