ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

গান-কবিতা ও স্মৃতিচারণে রণেশ দাশগুপ্তকে স্মরণ

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৯
গান-কবিতা ও স্মৃতিচারণে রণেশ দাশগুপ্তকে স্মরণ

ঢাকা: শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, উদীচীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, সাংবাদিক, সাহিত্যিক এবং রাজনীতিক রণেশ দাশগুপ্তকে স্মরণ করছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।

সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডে উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রণেশ দাশগুপ্তের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও স্মরণানুষ্ঠানের।  

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানটি দলীয়ভাবে পরিবেশন করেন উদীচী সঙ্গীত বিভাগের শিল্পীরা।

এরপর রণেশ দাশগুপ্তের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম।

উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি নিবাস দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, ঢাকা মহানগর সংসদের সহ-সভাপতি অমিত রঞ্জন দে, সাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান, কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সদস্য এম এ আজিজ মিয়া এবং উদীচীর সাবেক সংগঠক তনুজ কান্তি দে।  

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনুপ পোদ্দার।

বক্তারা বলেন, সমাজতন্ত্রের দীক্ষায় দীক্ষিত রণেশ দাশগুপ্ত সারাজীবন মানুষকে সাম্যবাদী আদর্শে দীক্ষা দিয়ে গেছেন। কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর গড়ে তোলার পেছনে অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন রণেশ দাশগুপ্ত। সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে শিশুদের সচেতন করে গড়ে তোলা এবং ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সব চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য রণেশ দাশগুপ্তের লেখনী বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

আলোচনা পর্বে তারা বলেন, আজীবন সংগ্রামী রণেশ দাশগুপ্ত ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে মানবকল্যাণের ব্রত গ্রহণ করেন। ৪০-এর দশকে গড়ে তোলেন প্রগতি লেখক সংঘ, যুক্ত হন শিশু-কিশোর এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলনে। ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর পাকিস্তান আমলেও তিনি সক্রিয় ছিলেন সব ধরনের শোষণ-বঞ্চনা-নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে। তার অসামান্য জ্ঞান, প্রজ্ঞা, মনন ও চিন্তাশীল উপস্থিতির মাধ্যমে উদীচীর লড়াই-সংগ্রামকে নানা সময়ে বেগবান করেছেন।

আলোচনা সভা শেষে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন রবিউল হাসান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন শিখা সেনগুপ্তা। এছাড়া আবৃত্তি পরিবেশন করেন উদীচী আবৃত্তি বিভাগের শিল্পীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এইচএমএস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।