শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে চার দিনব্যাপী এ উৎসব শুরু হবে। উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন- সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এম.এ খালিদ।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতসহ বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে পর্যটন সংস্কৃতির মেলবন্ধন রচনার লক্ষ্যে নৃত্যশিল্পীদের আন্তজার্তিক সংগঠন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ডান্স অ্যালায়েন্স-এশিয়া প্যাসিফিক’র (ডব্লিউডিএ-এপি) বাংলাদেশ শাখার ‘নৃত্যযোগ’ এ আয়োজন করছে।
আয়োজকরা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের পর্যটন মোটেল সড়কের কক্স কার্নিভাল সেন্টারে উৎসবের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। উৎসব ঘিরে প্রতিদিন ভোর থেকে কক্সবাজারের প্যাঁচারদ্বীপ এলাকার মারমেইড বিচ রিজোর্ট সংলগ্ন সৈকতে চলবে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন, কর্মশালা ও সেমিনার। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে কক্স কার্নিভাল মিলনায়তনে আন্তজার্তিক নৃত্য শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকবে নৃত্যানুষ্ঠান। এছাড়াও একই জায়গায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে চলবে দেশের খ্যাতনামা নৃত্য শিল্পীদের পরিবেশনায় লোক নৃত্য, শাস্ত্রীয় নৃত্য, সমকালীন নৃত্য ও নৃত্যনাট্য।
বিদেশি শিল্পীদের পরিবেশনার মধ্যে থাকবে- তাইওয়ানের নৃত্য প্রযোজনা ‘বাটু উইথ অর্নামেন্ট’, ‘নট অ্যালোন’, ‘ইমপ্রেশনস অব আওয়ার হোম টাউন’, ‘গ্রেটার দ্যান টু লেস দ্যান’, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযোজনা ‘ত্রিকোণ কানেকটিভিটি’, ভারতের প্রযোজনা ‘এজেস’, ‘ইনট্রানজিট’, ‘আনশেয়ারড ডিজায়ারড’, ‘টাচ দ্য সাউন্ড’, কোরিয়ার প্রযোজনা ‘স্প্রিং কামিং উইথ আ ওয়ার্ম ব্রিজ’ ও চীনের প্রযোজনা ‘টয়লেট পাম্প’সহ নানা কিছু।
দেশীয় শিল্পীদের পরিবেশনার মধ্যে থাকবে- অমিত চৌধুরী ও সুইটি দাসের ‘রূপান্তর’, জুয়েইরিয়াহ মৌলির ‘অর্ধনারীশ্বর’, শাম্মি আখতারের ‘মাইন’, আনন্দিতা খানের ‘রিফিউজি’, মৌমিতা জয়ার ‘রিলিজিয়ন: আ কজ অব কনফ্লিক্ট ইন কালচার’, আবু নাঈম খানের ‘লালন’, আরিফুল ইসলাম অর্ণবের ‘মানুষ’, তাহনুন আহমেদীর ‘আজান’, মেহরাজ হক তুষারের ‘ট্রাস্ট’, অলকা দাস প্রান্তির ‘কত্থক টু ওড়িশি, বৃষ্টি ব্যাপারির ‘ফ্রেম অব মাইন্ড’সহ নানা কিছু।
এছাড়া চারদিনের এ উৎসবে যৌথ পরিবেশনায় লিথুনিয়া ও ভারতের শিল্পী ক্রিস্টিনা ডলিনিনা ও শিবানি ভার্মার প্রযোজনায় থাকবে ‘হ্যাভ উই মেট বিফোর?’, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের প্রযোজনা অনন্যা চ্যাটার্জি ও তাসকিন আনহার ‘তফাত’, ভারতের সেফায়ার ক্রিয়েশন ও বাংলাদেশের নৃত্যশৈলীর প্রযোজনা ‘কি তা রে বা’সহ নানা আয়োজন থাকবে বলে জানান উৎসবের প্রিন্সিপাল কিউরেটর ও নৃত্যযোগের সাধারণ সম্পাদক লুবনা মারিয়াম।
লুবনা আরও জানান, ভারত ও বাংলাদেশের অনিল কুমার সিং ও মোফাজ্জল আলিফের প্রযোজনা ‘আই অ্যান্ড মাইসেল্ফ’ ও কানাডার সাশার জারিফের সঙ্গে কোরিওল্যাব থেকে নির্মিত হংকং, ভারত ও বাংলাদেশের একটি বিশেষ প্রযোজনা থাকবে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রথমবারের মতো মঞ্চস্থ হবে নৃত্যনাট্য ‘বাদী-বান্দার রূপকথা’। সুকল্যাণ ভট্টাচার্যের নৃত্য পরিচালনায় এ নৃত্যনাট্যে শামীম আরা নীপা, শিবলী মুহম্মদসহ আশি জনেরও বেশি শিল্পী অংশ নেবেন।
এছাড়াও উৎসবে বাংলাদেশের অন্য দলগুলোর মধ্যে আছে- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সাধনা, নৃত্যাঞ্চল, কল্পতরু, ধৃতি নর্তনালয়, ভাবনা, নৃত্যশৈলী, বন্ধু সোশাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটিসহ আরও অনেকেই।
বাংলাদেশি শিল্পীদের মধ্যে আছেন- লায়লা হাসান, মুনমুন আহমেদ, তামান্না রহমান, রাজদ্বীপ ব্যানার্জি, সাজু আহমেদ প্রমুখ।
এর বাইরে আদিবাসী শিল্পীরাও বিশেষ নৃত্য পরিবেশন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
এসবি/এইচজে