ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

৭ নতুন নাটক নিয়ে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের ‘নতুনের উৎসব’

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
৭ নতুন নাটক নিয়ে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের ‘নতুনের উৎসব’

ঢাকা: নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়, বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি মঞ্চ নাট্যগোষ্ঠী। দলটির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাতটি নতুন নাটক নিয়ে শুরু হলো নাট্য উৎসব।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় উদ্বোধন হয় ‘নতুনের উৎসব’ শীর্ষক এ নাট্য উৎসবের। ‘আয় নাটকের অঙ্গনে’ প্রতিপাদ্যে আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।

এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও নাসির উদ্দিন ইউসুফ। সভাপতিত্ব করেন নাগরিকে নাট্য সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসবের আহ্বায়ক ও অভিনেত্রী সারা যাকের।

আয়োজনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ সংস্কৃতিচর্চায় পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে বলেন, সরকার বর্তমান সংস্কৃতিচর্চার পৃষ্ঠপোষকতাকে সবেচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়। সারাদেশেই সংস্কৃতিচর্চায় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে শিল্পীদের ভাতার পরিমাণ ও সুবিধাভোগীদের সংখ্যা বর্তমানে সীমিত। তবে অতিদ্রুত অস্বচ্ছল শিল্পীদের ভাতা ও সংখ্যা বাড়ানো হবে।

লিয়াকত আলী লাকী বলেন, নাগরিক ব্যতিক্রমী একটি দল। তারা বহুমুখী নাটক দর্শকদের সামনে তুলে এনেছে। তাদের পথচলা দেশের যে কোনো নতুন দলের কাছে অনুপ্রেরণামূলক।

রামেন্দু মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের নাট্যচর্চায় নাগরিক গুরুত্বপূর্ণ একটি দল। বাংলাদেশে নাগরিক প্রথম দল যারা বিশ্বের স্বনামধন্য নাট্যকারদের নাটক আমাদের সামনে তুলে ধরেছে।

নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, এই উৎসবটি সময়োযোগী পদক্ষেপ। থিয়েটার বেঁচে থাকে নতুনের হাতে। সেজন্য নতুনদের সুযোগ দিতে হবে। তাই এ আয়োজন খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আতাউর রহমান বলেন, মঞ্চনাটক শুধু বিনোদন নয়, এটা গণশিক্ষার মাধ্যম। মঞ্চ সত্য কথা বলে। মঞ্চ সর্ববিদ্যার আধার।

সারা যাকের বলেন, নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় তরুণদের তুলে ধরতে চায়। সে কারণেই এ উৎসবের আয়োজন। যাতে তরুণ প্রজন্ম মঞ্চে তাদের মেলে ধরার সুযোগ পায়।

আলোচনাপর্ব শেষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের নিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন এ প্রজন্মের প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী বন্যা মির্জা, সামিনা লুফা নিত্রা, তনিমা হামিদ, আইরিন পারভীন লোপা, হৃদি হক ও সাধনা আহমেদ।  

মঞ্চে নারী নাট্যকর্মীদের অবদান তুলে ধরতেই তাদের দিয়ে প্রদীপ জ্বালানো হয় বলে জানান আয়োজক কমিটি।

উৎসব উদ্বোধন শেষে প্রথম দিন মঞ্চস্থ হয় নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের নতুন প্রযোজনা ‘কালো জলের কাব্য’। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন পান্থ শাহরিয়ার। উইলিয়াম শেক্সপিয়াসের ‘মার্চেন্ট অব ভেনিসের’ ভাবানুবাদে করা নাটকে অভিনয় করছেন আসাদুজ্জামান নূর ও অপি করিমসহ বিশিষ্ট নাট্যজনেরা।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার (৩০ নভেম্বর) মঞ্চস্থ হবে শামীম সাগর নির্দেশিত সুনামগঞ্জের বন্ধন থিয়েটার ও প্রসেনিয়াম থিয়েটার যৌথ নির্মাণ ‘রাধারমণ’।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এ উৎসবে সহযোগিতা করছে বার্জার পেইন্টস, ঢাকা ব্যাংক এবং আয়ুষ।

বাংলাদেশ সময়: ০২২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এইচএমএস/এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।