ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

শিল্পকলায় জমজমাট বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২০
শিল্পকলায় জমজমাট বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

ঢাকা: শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ২১ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। এ উৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজনে বর্ণিল সাজে সেজে উঠেছে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। বর্ণিল আয়োজন মনে করিয়ে দিচ্ছে বাঙালির লোকজ ইতিহাস আর ঐতিহ্য।

সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকজ খেলা, পালা, একক সংগীত, বাউল সংগীত, ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য, যাত্রা, সমবেত নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, পুতুল নাট্য, একক আবৃত্তি, শিশুদের পরিবেশনা, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগীত ও নৃত্য, নাটকের কোরিওগ্রাফি, বৃন্দ আবৃত্তি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি সম্প্রদায়ের পরিবেশনা, আঞ্চলিক ও জেলা ব্রান্ডিং বিষয়ক সংগীত ও নৃত্য এবং জেলার ঐতিহ্যবাহী ভিডিও চিত্র প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজনে সাজানো হয়েছে এবারের সাংস্কৃতিক উৎসব।

এসব সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞে অংশ নিচ্ছেন সারাদেশের ৬৪টি জেলা, ৬৪টি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী ও শতাধিক সংগঠন।

এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টায় থাকছে একটি লোকনাট্যের পরিবেশনা।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) ছিল ২১ দিনের এই উৎসবের চতুর্থদিন। এদিনের আয়োজনে বিকেলে একাডেমির নন্দনমঞ্চে নিজ নিজ জেলার পরিবেশনা নিয়ে নাচ, গান, আবৃত্তিসহ নানা সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞে অংশ নেয় জামালপুর, সিরজগঞ্জ ও পঞ্চগড় জেলার শিল্পীরা।

সাংস্কৃতিক উৎসব।  ছবি: বাংলানিউজ

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পীরা। এরপর এ্যাক্রোবেটিক শো নিয়ে মঞ্চে আসে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা। এদিনের আয়োজনে আবৃত্তি পরিবেশন করেন সৈয়দ হাসান ইমাম। সমবেতসঙ্গীত পরিবেশন করে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিল্পী সাফান, শুপ্ত, শুসমী, অমিত, সাফিন ও লিথি। একক সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমির শিশু সঙ্গীত দলের শিল্পী শ্রাবন্তী। দ্বীপা খন্দকারের পরিচালনায় ‘আয়রে আমার দামাল ছেলে এবং তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’ গানের কথায় দুইটি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে দিব্য সাংস্কৃতিক সংগঠন।

জেলার পরিবেশনা পর্বে জারিগান দিয়ে জেলার ব্রান্ডিং করে জামালপুর জেলা। এরপর দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করে টুটুল মাহমুদ, আশরাফুল হোসাইন, কাওসার আহমেদ, সাকিব হাসান শুভ, সুমন মিয়া, নাজিমা আনছারী, শ্রাবন্তী, শশী ও শ্রেয়া। ‘তারায় করে ঝিকিমিকি’ গানের সঙ্গে ঘেটু নাচ এবং ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ দেশাত্ববোধক গানের কথায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন জনি, রাসেল, তপু, আকাশ, অন্তরা, রূপন্তী, সোনিয়া, সাথী, বিথী ও সুমী।

জাতীয় পর্যায়ের তারকা পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী টুটুল খান এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী সুমি আক্তার পরিবেশন করে লালনগীতি। যন্ত্রে সানাইয়ের সুর তোলেন শিল্পী কবির, সঞ্জীব সেন, বুলবুল ইসলাম, সেলিনা বেগম ও অজন্তা রহমান। এরপর জেলার ব্রান্ডিং ভিডিও প্রদর্শনী শেষে সমবেতভাবে ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ এবং ‘নোঙর তোলো তোলো’ গান দুটি পরিবেশন করে ড. জান্নাত আরা হ্যানরী, রাশু, আশিষ, সাইফুল, দুর্জয়, সুইটি, রেনেসাঁ, প্রিয়ন্তী, আশা ও স্বপ্না সাহা।

পরের পরিবেশনায় ‘দেখো আলোয় আলোয় আকাশ’ এবং ‘আলোকের ঐ ঝর্ণা ধারায়’ গান দুটির সঙ্গে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পী ড. জান্নাত আরা হ্যানরী, রাশু, লাজ, হুমায়রা, বিধা, জয়া, অনুরাধা, মামুন, ওসমান, সজীব, তালেব ও সাগর। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ড. জান্নাত আরা হ্যানরী এবং উপজেলা পর্যায়ে স্বপ্না সাহা। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আজাদ রহমান, লিটন দাস, শাওন ও মানিক।

পঞ্চগড় জেলার পরিবেশনায় সমবেত সংগীত ‘হামার জেলা পঞ্চগড় ও হামার পানি টলমল এবং সোনার বাংলা গড়তে হলে’ গানগুলো সমবেতভাবে পরিবেশন করেন নুরনবী জিন্নাহ, মাহবুব, শিহাব, আদনান, মঞ্জু ইসলাম, আব্দুল মান্নান, পলি দত্ত, সাবরিনা, শবনম মীম, রোকসানা আক্তার ও মুক্তা রাণী। সমবেতভাবে ‘একটি মুজিবরের থেকে’ এবং ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গান দুটি পরিবেশন করেন সুমন, পলাশ, লিটু, আনান, উমর ফারুক, লিপু, জ্যোতি, অহনা, নীড় ও তিলোত্তমা দাস।

একক সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী স্বরনীকা বিশ্বাস এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী রোকসান আক্তার। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী রঞ্জিত সরকার, জ্যোতি, রউস ও রুহিনী সিংহ। সবশেষে রাত ৮টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘পদ্মার নাচন’ পরিবেশন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০২৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এইচএমএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।