প্যাভেলিয়নের দায়িত্বে থাকা আমীর আমজাদ মুন্না জানান, এবছর মোট ১৪টি প্রকাশনা সংস্থা এই বইমেলায় অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের লেখক-কবিদের লেখা গল্প, কবিতা, প্রবন্ধসহ সাহিত্যের সব ধরনের বই রয়েছে।
প্যাভেলিয়নের এক দিকে আলাদা করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বইগুলো। ত্রিপুরাবাসীর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর বইকে নিয়ে আগ্রহ কেমন? এর উত্তরে তিনি জানান, সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। বাংলাদেশ স্টলে আসা লোকজন বই কিনুক আর না কিনুক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বই হাতে নিয়ে দেখছে। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বই অনেক বিক্রি হচ্ছে। এ থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশের মতো ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধু সমান জনপ্রিয়।
বইয়ের সামগ্রিক বিক্রির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কিছুটা হতাশার সুরে তিনি বলেন, গত বছর বই মেলায় যে পরিমাণ বিক্রি হয়েছিল, এবছর তার অর্ধেকও বিক্রি হয়নি। হঠাৎ করে বিক্রি কমে যাওয়ার কারণ কি? তবে কী বই পড়ার প্রতি মানুষ আগ্রহ হারাচ্ছেন? এর উত্তরে আমীর আমজাদ মুন্না বলেন, মানুষ বইয়ের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন ঠিক তা নয়।
‘এবছর আগরতলা বইমেলার স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে প্রতি বছর বইমেলা আগরতলা শহরের মধ্যে হতো, এবছর বইমেলাকে শহরের ভেতর থেকে বের করে শহরতলীর হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গনে নিয়ে আসা হয়েছে। তাই মানুষ তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম আসছেন। ফলে তারা আশঙ্কায় রয়েছেন যে খরচ উঠবে কিনা। ’
আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনের সহকারি হাইকমিশনার কিরীটি চাকমাও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়ন ঘুরে গেছেন বলে জানান আমীর আমজাদ মুন্না।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে আগরতলায় শুরু হয়েছে ৩৮তম আগরতলা বইমেলা ২০২০ এবং তা চলবে আগামী ৮মার্চ পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
এসসিএন/ওএফবি