সারাদেশ থেকে পাওয়া পাণ্ডুলিপিগুলোর মধ্য থেকে সেরা কয়েকটি পাণ্ডুলিপি নিজেদের অর্থায়নে আগামী ২০২১ বইমেলায় প্রকাশ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
চারটি মৌলিক ক্যাটাগরিতে বাংলা সাহিত্যের সব শাখার পাণ্ডুলিপি আহ্বান করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ মে) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে [email protected] এই ই-মেইলে পাণ্ডুলিপি পাঠাতে হবে।
অংশগ্রহণের নিয়মগুলো- পাণ্ডুলিপি অবশ্যই স্বরচিত এবং অপ্রকাশিত হতে হবে। পাণ্ডুলিপির সঙ্গে সঠিক পরিচিতি, ছবি এবং সচল মোবাইল নম্বর যুক্ত করতে হবে। পাণ্ডুলিপির প্রথম পৃষ্ঠায় যে বিভাগে লেখা জমা দেওয়া হচ্ছে-সে বিভাগের নামোল্লেখ করতে হবে। কাভার পৃষ্ঠা ছাড়া ভেতরের কোনো পৃষ্ঠায় বই কিংবা লেখকের নাম উল্লেখ করা যাবে না। একজন লেখক যেকোনো দুইটি বিভাগে পাণ্ডুলিপি জমা দিতে পারবেন।
পাণ্ডুলিপি কম্পোজ করে ওয়ার্ড ফাইলে ই-মেইলে পাঠাতে হবে। ই-মেইলের সাবজেক্টের ঘরে ‘জলকথা পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ২০২১’ লিখতে হবে। তবে কারো কম্পিউটার সুবিধা না থাকলে মোবাইল থেকে ই-মেইলের বডিতেও লেখা পেস্ট করে পাঠাতে পারবেন।
সৃজনশীল, মননশীল ও কিশোর সাহিত্য বিভাগের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৪৮ এবং সর্বোচ্চ ১১২ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পাণ্ডুলিপি জমা দেওয়া যাবে। শিশু সাহিত্য বিভাগের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১৬ পৃষ্ঠা (৭.২৫"/৯.৫০") এবং সর্বোচ্চ ৪০ পৃষ্ঠার পাণ্ডুলিপি জমা দেওয়া যাবে। কমিক্সের ক্ষেত্রে পুরো গল্পের সঙ্গে অন্তত তিন পাতা ছবি এঁকে পাঠাতে হবে। যাচাই-বাছাই শেষে অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা হবে। প্রতিযোগিতায় জলকথা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
এ প্রসঙ্গে জলকথা প্রকাশের প্রকাশক সেলিম আহমেদ বলেন, মোট ৪টি বিভাগের মধ্যে যেকোনো দুইটি বিভাগে একটি করে পাণ্ডুলিপি জমা দেওয়া যাবে।
এগুলো- সৃজনশীল সাহিত্য (গল্প, উপন্যাস, নাটক, রম্য গল্প, ছড়া, কবিতা), মননশীল সাহিত্য (গবেষণা, প্রবন্ধ, জীবনী, ভ্রমণ, মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, ফিচার), কিশোর সাহিত্য (কিশোর উপন্যাস, কিশোর কবিতা, গল্প, বিজ্ঞান, সায়েন্স ফিকশন, রহস্য উপন্যাস, ডিটেকটিভ, হরর, ফিচার) এবং শিশু সাহিত্য (ছড়া, রূপকথা, উপকথা, গল্প, কমিক্স, ভূতের গল্প)।
তিনি বলেন, প্রত্যেক বিভাগ থেকে সেরা একটি করে মোট ৪টি পাণ্ডুলিপি জলকথার নিজস্ব বিনিয়োগে প্রকাশ করা হবে। প্রত্যেক বিভাগ থেকে ‘সেরা ১০ পাণ্ডুলিপি’ নির্বাচন করা হবে, যা লেখক-প্রকাশক বিনিয়োগ অংশীদারিত্বে প্রকাশ করা হবে।
এছাড়াও সেরা ১০ পাণ্ডুলিপিসহ ৪টি বিভাগ থেকে মোট ৪৪ জন নির্বাচিত লেখককে ঢাকায় অনুষ্ঠান করে ক্রেস্ট, সনদ ও নিজ নিজ বইয়ের প্রচ্ছদ অঙ্কিত মগ দেওয়া হবে। প্রকাশিত বইয়ের স্বত্ব লেখকের নামে সংরক্ষিত থাকবে। বিক্রিত বইয়ের মুনাফা থেকে লেখককে রয়্যালিটি দেওয়া হবে।
বিস্তারিত জানতে জলকথা প্রকাশের নিজস্ব ফেসবুক পেইজ (facebook.com/jalkatha) অথবা মোবাইল ফোনে (০১৭১৯২৭০৮৫৫, ০১৭১০৪২৩১০১) যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
এইচএমএস/এএটি