শনিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় অনলাইনেই সমাপ্তি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা নামে এবারের উৎসবের।
এদিন সন্ধ্যার এ আয়োজনে জুম অ্যাপে সংযুক্ত হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, মফিদুল ইসলাম, চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারসহ দেশের ও দেশের বাইরের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা।
আয়োজনে আসাদুজ্জান নূর বলেন, এই চলচ্চিত্র উৎসব আমাদের নতুন কাজ করতে, একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। করোনা পরিস্থিতিতে এমন অনলাইন ভিত্তিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগদানের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আশা করি এই পরিস্থিতি কেটে গেলে নতুন মানুষ এবং নতুন আইডিয়া নিয়ে আমরা আবার একত্রিত হতে পারবো। চলচ্চিত্র অনেক কিছু ব্যাখ্যা করে। নতুন চিন্তাভাবনাগুলো সামনে আনে, যা সুন্দর পৃথিবী গড়তে সাহায্য করে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, সারাবিশ্ব থেকে এই আয়োজনে অনেক তরুণ নির্মাতারা অংশ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে এটা বোঝা যায়, আমাদের তরুণ সমাজ অনেক সচেতন।
মফিদুল ইসলাম বলেন, আমরা আনন্দিত যে, এই উৎসবটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এখানে অংশ নেওয়া প্রত্যেকের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং সেগুলো তারা সৃজনশীল চিন্তার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে ফুটিয়ে তুলেছেন। এবারের উৎসবে আমরা প্রায় ৮শ’ চলচ্চিত্র পেয়েছিলাম, সেখান থেকে একটি শর্টলিস্ট করে গত ৫ দিনের আয়োজন সাজানো হয়। সেগুনবাগিচা থেকে খুব ছোট্ট পরিসরে শুরু হওয়া এই চলচ্চিত্র উৎসব আজ একটি সত্যিকারের আন্তর্জাতিক উৎসব। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।
সমাপনী আয়োজনে একই সঙ্গে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী চলচ্চিত্র এবং নির্মাতাদের নাম প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এটিই প্রথম কোনো অনলাইন চলচ্চিত্র উৎসব।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২০
এইচএমএস/এইচজে