ঢাকা: খণ্ডিত পাঠে পূর্ণাঙ্গ নজরুলকে আবিষ্কার করা ও ধারণ করা সম্ভব নয়। এজন্য গভীর অনুসন্ধান এবং অভিনিবেশ প্রয়োজন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন৷
একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একক বক্তৃতা করেন নজরুল গবেষক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
একক বক্তা এ এফ এম হায়াতুল্লাহ বলেন, নজরুল-জীবন ও সাহিত্যকে যথার্থভাবে মূল্যায়নে আমরা নানা সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হই। নজরুল তার সমকালে যেমন রক্ষণশীল-সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন তেমনি সংকীর্ণমনা সাহিত্য সমালোচকেরাও তাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন। তবে নজরুল তার বর্ণাঢ্য জীবন এবং অসাধারণ সৃষ্টির দ্বারা এসব ডিঙিয়ে বাংলা সাহিত্যে ও বাঙালি জীবনে অমরতার আসন নিশ্চিত করেছেন।
শামসুজ্জামান খান বলেন, নজরুলের বৈরী-পক্ষ তার সমকালেও সক্রিয় ছিল কিন্তু তিনি শৈল্পিকভাবে সেসব প্রতিকূল পরিবেশ-প্রতিবেশ মোকাবিলা করেছেন। সামগ্রিক বাংলা সাহিত্যের পটভূমিকায় তার বিশিষ্ট স্থান কখনও ম্লান হওয়ার নয়। বাঙালিত্বের উদ্বোধন ও বিকাশে নজরুলের কালজয়ী ভূমিকার কোনো তুলনা নেই।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, নজরুল সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। আর বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের মাধ্যমে সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিলেন। নজরুল তার কবিতায় সমষ্টিমানুষের মুক্তির প্রত্যাশা প্রকাশ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের জন্ম দিয়ে সে মুক্তিকে আসন্ন করেছেন। এভাবে আমরা আমাদের জাতির পিতা ও জাতীয় কবিকে অভিন্ন প্রেক্ষিত থেকে বিবেচনা করতে পারি।
অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মাহিদুল ইসলাম এবং নজরুলগীতি পরিবেশন করেন শিল্পী লীনা তাপসী খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
ডিএন/এইচএডি